ছাত্রদলের ওপর হামলায় ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী জড়িত ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস।
হামলার পর আজ মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি। সনজিতের দাবি জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে ছাত্রদল নিজেরাই মারামারিতে জড়ায়।
সনজিত বলেন, ছাত্রদল অছাত্রদের সগঠন। তাদের কি কর্মসূচী আছে কি বা নেই এটি নিয়ে আমাদের কোন মাথাব্যাথা নেই। আমরা আজকে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবি নিয়ে উপাচার্য স্যারকে স্মারকলিপি দিয়েছি। আমাদের সব নেতাকর্মীরা এখানেই ছিল। বাইরে যারা দাবি করছে যে ছাত্রলীগ তাদের ওপর হামলা করেছে আসলে তাদের একটা ফোবিয়া হয়েছে যে, তারা যেখানেই মার খায় ধরপাকড়ের শিকার হয় তারা মনে করে ছাত্রলীগ তাদের মেরেছে।
‘আমরা শুনেছি তারা নীলক্ষেত মোড়ে রাস্তাঘাট আটকিয়েছে। সাধারণ জনতা এর সাথে সাধারণ ছাত্ররা তাদের গণধোলায় দিয়েছে। এখানে ছাত্রলীগের দায় কেন হবে? ছাত্রলীগের সবাই এখানে উপাচার্য এর কার্যালয়ের আশেপাশে রয়েছে। আমাদের কনসার্নের বাইরে গিয়ে আমাদের কর্মীরা কোনো ধরণের কাজ করে না। সুতরাং ওরা মিথ্যাচার করছে। এখানে ছাত্রলীগের বিন্দুমাত্র সম্পক্ততা নেই।’
জয় বাংলা বলে হামলা করেছে জানালে তিনি বলেন, আমার কাছে তথ্য রয়েছে ছাত্রদলের ছয়টি গ্রুপ রয়েছে। তারা নিজেরা প্রতিহিংসা করে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দিয়েছে। তাছাড়া জয় বাংলা এখন জাতীয় স্লোগান। ছাত্রদল করে বলে জয় বাংলা বলতে পারবে না এটা ঠিক না। নিজেরা কোন্দল করেছে। ছাত্রলীগকে কুলষিত করার জন্য ওরা জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দিয়ে নিজেরা নিজেরা হামলায় জড়িত হয়েছে।
হামলায় স্যার এ এফ রহমান হলের নেতাকর্মীরা অংশ নিতে দেখা গেছে জানালে তিনি বলেন, যারা প্রোগ্রামে এসেছে তারা হলে ফেরার পথে যদি আপনারা তাদের ফুটেজ নিয়ে হামলা করেছে বলেন! ছবি থাকলে থাকুক। ছাত্রলীগের কেউ এই হামলার সাথে জড়িত না। আমরা জানি তাদের অভ্যন্তরীন কোন্দলের কারণে এই মারামারি।