Saturday, September 21, 2024
Homeঅপরাধসন্ধ্যায় ফেসবুক স্ট্যাটাসে ‘বিদায়’, ভোরে ঢাবি ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু

সন্ধ্যায় ফেসবুক স্ট্যাটাসে ‘বিদায়’, ভোরে ঢাবি ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক :

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সাবেক গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক নাবিল হায়দার মারা গেছেন।
শুক্রবার (০৭ এপ্রিল) ভোর ৬টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

‘হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে’ নাবিলের মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। এদিকে মৃত্যুর আগে ফেসবুকে ‘বিদায়’ স্টাটাস দেওয়ায় অনেকে ধারণা করছেন নাবিল আত্মহত্যা করেছেন।

নাবিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার নিজ জেলা ভোলা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের একনিষ্ঠ সমর্থক ছিলেন নাবিল।

মৃত্যুর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (০৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা ৩ মিনিটে নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন নাবিল হায়দার। সেখানে তিনি লিখেছেন ‘বিদায়’। এ পোস্টের সঙ্গে ভাঙা ফ্রেমের একটি চশমার ছবি যুক্ত করেছেন তিনি।

নাবিলের বড় ভাই তওসিফ উদ্দিন তনয় বলেন, গতকাল নাবিল খিলগাঁওয়ে তার এক বন্ধুর বাসায় ছিলো। নাবিলের এমন স্ট্যাটাসে সন্দেহ হলে তাকে আমাদের বাসায় নিয়ে আসতে বললে সে আসতে অস্বীকৃতি জানায়। তার বন্ধুরাও আমাকে আশ্বস্ত করেন যে, তারা আছেন সমস্যা নেই। তারপর ভোর রাতের দিকে তার বন্ধু আমাকে ফোন করে জানায়, নাবিল অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। পরে সেখান থেকে উদ্ধার করে ঢামেকে নিয়ে গেলে চিকিৎসীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন নাবিল।

বিদায় স্টাটাস ও আত্মহত্যার বিষয়ে তনয় বলেন, আব্বুর সাথে রাগ করে সে বিদায় স্টাটাস দিয়েছিল কিন্তু আব্বু বলছে তাকে দিবে। এছাড়া ছাত্রলীগের কমিটি নিয়েও সে একটু চিন্তিত ছিল। তবে সে আত্মহত্যা করতে পারে না। কারণ আত্মহত্যা হলে মেডিকেল থেকে এত দ্রুত ছেড়ে দিতো না। তার পোস্টমর্টেম বা কোনো কিছুই করেনি মেডিকেল কর্তৃপক্ষ। ডাক্তাররা বলছে সে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নাবিল হায়দারের এক বন্ধু বলেন, আমরা ধারণা করছি সে আত্মহত্যা করেছে। পরিবারের সাথে টুকটাক কিছু ঝামেলা ছিল বলে জানতে পেরেছিলাম। তবে চূড়ান্তভাবে বলা যাচ্ছে না আসলে কি হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমান বলেন, নাবিল কি কারণে মারা গেছে সেটা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। তার পরিবারও তদন্ত হোক এটা চাচ্ছে না। সে ফেসবুকে বিদায় স্টাটাস দেওয়ায় সবাই ধারণা করছে সে আত্মহত্যা করেছে। আমরাও তার বন্ধুদের থেকে কথা বলে সেটা জানতে পারছি।

RELATED ARTICLES

Most Popular