Monday, November 11, 2024
Homeঅপরাধমিরপুরের কাউন্সিলর মানিকের জমি জালিয়াত সিন্ডিকেট

মিরপুরের কাউন্সিলর মানিকের জমি জালিয়াত সিন্ডিকেট

রাজধানীর ঢাকা উত্তর সিটির ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক দিনকেদিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তার বিরুদ্ধে গৃহবধূর ধর্ষণের অভিযোগ উঠে আসার পরপরই পাল্টে যায় ধর্ষনের অভিযোগ। উত্তর সিটি মেয়রের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করা ওই নারী হঠাৎ করে বদলে দেয় নিজের বয়ান। আর এরপর থেকে উঠে আসতে থাকে মানিকের বিভিন্ন ইতিহাস। মিরপুর ১০ নাম্বার এলাকাজুড়ে মানিকের গড়ে তোলা মার্কেট থেকে শতশত কোটি টাকা চাঁদাবাজির বিষয়টি দেশব্যাপী আলোচনা হয়েছে কিন্তু টনক নড়েনি সিটি কপের্ররেশনের।

জানা যায় এই ফুটপাথ মার্কেটের বিগত ১০ বছরের প্রায় ৬০ কোটি টাকা মানিক ও তার বাহিনী হাতিয়ে নিয়েছে। সেখানে দোকান বসানেরা অগ্রিম চাঁদা দৈনিক চাঁদা থেকে কালেকশন হয়েছে এসব টাকা। মুল সড়ক ও আশেপাশের সড়ক গুলি দখল করে ফুটপাত মার্কেট গড়ে ওঠার কারণে সারাদিনই ওই রাস্তা গুলিতে যানজট লেগেই থাকে। ১০ নং হোপ এর গলিতে গেলে সেখানে দোকান ও ক্রেতাদের ভীড়ে বোঝার উপায় থাকে না সেটা মার্কেট না রাস্তা। গত ১০ বছর ধরে রাস্তা দখল করে এমন মার্কেট গড়ে ওঠার কারণে জনদূর্ভোগ হলেও উচ্ছেদ করার সাধ্য কারো না থাকায় সেখানে এখন ৫ লক্ষ টাকার নিচে ৪ ফিট বাই ৪ ফিট জায়গার রাস্তার অগ্রিম গুনতে হচ্ছে ৫ লক্ষ টাকারও বেশি।

এ বিষয়ে মানিক বলেন আমি বা আমার কোন লোকজন চাঁদাবাজির সাথে যুক্ত না আপনি সরেজমিনে তদন্ত করেন। আমার প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিরা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। মাদকের বিরুদ্ধে সব সময় আমরা সোচ্চার।

শুধু ফুটপাথের চাঁদাবাজি নয় নিজ এলাকায় দখলবাজি করার অভিযোগ আছে বির্তকিত ওই কাউন্সিলর এর বিরুদ্ধে। দখলবাজির করে তিনি তার নিজ ওয়ার্ডের বিভিন্ন প্লট ফ্ল্যাট হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। মানিকের দখলবাজির থেকে মুক্তি পেতে সংবাদ সংম্মেলনও করেছিলেন পলাশনগরের স্থায়ী বাসিন্দা মৃত অহিদ মোল্লার মেয়ে হচ্ছে নূরুননাহার। পলাশনগরে তার রেকর্ড মহানগর খতিয়ান নং ১৬৫১, দাগ নং-১৫৬৪২, জমির পরিমাণ ৩৩ শতাংশ বা ২০ কাঠা জমি রয়েছে। চিহ্নিত ভূমি দস্যু ও ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর (উত্তর) কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক এবং তার চাচা হারুন আর রশিদ মিলে জাল দলিল তৈরি করে জোরপূর্বক নূরুন নাহারের ৯ কাঠা জমি দখল করে নিয়েছে। পরে ভূমিদস্যু কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক বিভিন্ন মানুষের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। এর মধ্যে শাপলা সমিতির কাছে ৮০ লাখ টাকায় ৫ কাঠা জমি, আকলিমা বেগমের কাছে ৪০ লাখ টাকায় ২ কাঠা জমি, মুফতি মাওলানা শেখ রেজাউল করিমের কাছে ৪০ লাখ টাকায় ২ কাঠা জমি বিক্রি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। উক্ত ঘটনায় নূরুন নাহার কোটে একটি মামলা করেছিলেন। পিটিশন মামলা নং ৬৪৩/২০১২ যা কোর্টে তার পক্ষে রায় দিয়েছে। কোর্টের রায় নূরুন নাহারের পক্ষে থাকার পরেও ৯ কাঠা জমি না ছেড়ে উল্টো বাকি জমি দখল করে নেয়ার জন্য তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে মানিকের বিরুদ্ধে। ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে মানিক স্ত্রী পরিবারের বিভিন্ন সদস্যদের নামে সেই দখল করা জায়গা গুলি রেজিষ্ট্রি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। জানা যায় মিরপুর ১০ নং সেকশনের ডি ব্লকের ২৭ নং রোডের ১৮ নস্বর বাড়িটি জাল জালিয়াতির মাধ্যমে নিজ স্ত্রীর নামে করেছেন। ডি ব্লকের ২৮ নম্বর রোডের ৩৩ নম্বর বাড়িটি নিজ শশুড়ের নামে করে সেখানে মার্কেট বানিয়েছেন, ডি ব্লকের ২৯ নং লাইনের ১৭ নম্বর প্লটটিও মানিকের দখলে রয়েছে, এছাড়াও মিরপুর ১০ নম্বর সেকশনের ডি-ব্লকে ৩৪ নম্বরের সড়কের ৪ নম্বর বাড়ি, ২২ নম্বর বাড়ি ও ২৪ নম্বর বাড়ি, ২৯ নম্বর সড়কের ১৭ নম্বর বাড়ি, ৩৩ নম্বর সড়কের ১৬ নম্বর বাড়ি ও ২৭ নম্বর সড়েকের ১৮ নম্বর বাড়ি জালিয়াতির মাধ্যমে দখল করেছেন কাউন্সিলর মানিক বলে অভিযোগ রয়েছে। ১০নং সেকশনের বি-ব্লকের মেইন রোড থেকে সংযোগ সড়ক এভিনিউ-১ ঝুটপট্টি রোডের উত্তর মাথায় শহীদ আবু তালেব উচ্চ বিদ্যালয়ের নকশা বহির্ভূত বর্ধিত অংশ সিটি কর্পোরেশনের ৪০ ফুট রাস্তার মধ্যে ৬ ফুট প্রস্থ ও ৭০ ফুট দৈর্ঘ্য দখল করে ভবন নির্মান করেছে ওই ওয়ার্ড কমিশনার জহিরুল ইসলাম মানিক। জহিরুল ইসলাম মানিকের এই দখল উচ্ছেদের জন্য এলাকার প্রায় ৩ শতাধিক নারী পুরুষ মাননীয় মেয়রের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। ৩ নং ওয়ার্ড কমিশনার জহিরুল ইসলাম মানিকের অপরাধ অপকর্মের বিষয়ে আরিফুর ইসলাম বাবু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি, র‌্যাবের প্রধান, পুলিশ কমিশনার, ডিসির কাছে সুনিদৃষ্ট তথ্য প্রমানাদিসহ অভিযোগ করেছিল বলে জানা যায়। মানিকের দখলবাজি নিয়ে ক্যাম্পবাসিরাও মানববন্ধন করেছিল। ওই মানববন্ধনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহিদ আলী বাবলু অভিযোগ করে বলেছিলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক বহুদিন ধরে পুনর্বাসন ছাড়াই ক্যাম্প উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র করে আসছেন। কিন্তু তারা সব সময় এই উচ্ছেদ ও দখলবাজির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন। ক্যাম্প উচ্ছেদের লক্ষ্যে প্লট মালিকদের সঙ্গে আঁতাত করে কাউন্সিলরের নির্দেশনায় নিরীহ ক্যাম্পবাসীসহ ১৭৩ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মিথ্যা মামলা দায়ের হয়েছে। দখলবাজির পাশাপাশি পরিবহন চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে মানিকের বিরুদ্ধে। জানা যায় অটোরিক্সার চাঁদা না পেয়ে তিনি ও তার বাহিনীর সদস্যরা বেশ ক’দিন অটো রিক্সা চলবে ঘোষণা দিয়ে কয়েক দফা অটো রিক্সা ধর পাকড় করার পরে তার মাসিক চাঁদা নিশ্চিত করেন এরপর বন্ধ হয়ে যায় অটো রিক্সা ধরপাকড় অভিযান। সম্প্রতি বির্তকিত যুবলীগ নেতা বাউনিয়াবাঁধের পিস্তল জুয়েলকে সাথে নিয়ে মানিকের পথ চলা নতুন করে শুরু হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শীর্ষ সন্ত্রাসীর সহযোগী জানান, এই ওয়ার্ড কাউন্সিলর মানিক আগেও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকালাপে যুক্ত ছিল এখনো আছে মাঝে শুধু খোলস পাল্টেছে। তিনি আরো জানান আগে মানিক সরাসরি কিলার বাহিনীর সাথে কাজ করতো এখন সে পরোক্ষভাবে তার এলাকা ও এলাকার বাইরে নিজ ইচ্ছে মাফিক অপরাধ কর্মকান্ড পরিচালনা করে। গোপন সুত্রে জানা যায় মানিকের কথার বাইরে চললেই তাদের কাছে শাহাদত বাহিনীর মুক্তার নামে এক শীর্ষ সন্ত্রাসীর ফোন আসে চাঁদার দাবিতে। শুধু ৩ নং ওয়ার্ডেই মুক্তারের নামে পল্লবী ও কাফরুলে একাধিক ব্যক্তি সাধারণ ডাইরী করেছে। অথচ মুক্তার এবং শাহাদতের সাথে এই কাউন্সিলর মানিকের গভীর সখ্যতা আছে বলে জানা যায়। কাউন্সিলর মানিক নিজ এলাকা ও এলাকার বাইওে একাধিক গ্রুপে গঠন করেছেন বলে জানা গেছে। ৩ নং ওর্য়াড সরজমিন ঘরে জানা যায় ১৬ আসনের কর্ণধার হবার জন্য মানিক কাউন্সিলর তার এলাকায় মহল্লা ভিত্তিক যে সব বাহিনী গঠন করেছেন তার মধ্যে রয়েছে মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ে নিজের সমার্থিত বাহিনী নিয়ে একটা গ্রুপ এবং এলাকার উঠতি কিশোর ও যুবকদের নিয়ে একটা গ্রুপ।
এছাড়াও মহল্লায় বখাটে এবং সন্ত্রাসীদের নিয়ে আলাদা একটা গ্রুপ গঠনের বিষয়ে জানা গেছে। গোপন সূত্রে জানা যায়১৬ আসনে এমপি পদে অসীন হতে কিলার আব্বাস এবং শাহাদতের সাথে কথাবার্তা চুড়ান্ত পর্যায়ে শেষ হয়েছে খালি স্থানীয় পর্যায়ের নেতা জুয়েল রানা ও বাপ্পিকে ম্যানেজ করলেই মানিক হতে চলছে আগামীতে ১৬ আসনের কর্ণধার। বাপ্পি ও জুয়েলকে ম্যানেজ করতে মানিক জুয়েল রানার সাথে একাধিকবার বৈঠক করেছে বলে জানা যায়। তবে চুড়ান্ত কোন সিদ্ধান্তে বিষয়ে জানা যায়নি। কাউন্সিলর মানিকের নিজস্ব মাধ্যমের বরাত দিয়ে জানা যায় অতি শ্রীঘই মানিক উত্তর যুবলীগের সভাপতি পদটি পেতে বিভিন্ন স্থানে দৌড়ঝাপ করছেন এবং চাহিদা মাফিক টাকা সরবারহের ব্যবস্থার আশ্বাস ও দিচ্ছেন। চাঁদাবাজি দখলবাজি বহাল রাখতে তিনি গড়ে তুলেছেন নিজেস্ব বাহিনী।
এছাড়াও কাউন্সিলর মানিকের সকল অপকর্মের সঙ্গী ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আমান উল্লাহ আমান, ৫নং ওয়ার্ড যুবলীগের বহিস্কৃত যুবলীগ নেতা মোঃ জুয়েল রানা।
আমানের নেতৃত্বে ভাতিজা আরিফ ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সিমেন্ট মাসুম এভিনিউ ৫ এর বিভিন্ন সড়ক ও ফুটপাত নিয়ন্ত্রণ করে। সিমেন্ট মাসুম বালুর মাঠ এলাকায় মাদক ব্যবসা ও চোরাই অটোরিকশা কেনাবেঁচা করে। ভাতিজা আরিফ সড়কে দোকান বসিয়ে প্রত্যহ চাঁদা উঠায়।
জুয়েল রানার নেতৃত্বে ৫নং ওয়ার্ডের বাউনিয়াবাধ এলাকায় অবাদে মাদক বানিজ্য ও চুরি ছিনতাই যেন নিত্যদিনের। তৈরি করেছে কিশোর গ্যাং বাহিনি, এ গ্যাংয়ের মেইন লিডার রিপন,রুবেল, ইমরান তালুকদার, ছাত্রদলের মুসতাকিম ফয়সাল,গাল কাটা পারভেজ। সুমন,মোস্তফা, বিপ্লব মিধা।
মানিকের নেতৃত্বে হোপের গলি থেকে চাঁদা কালেকশন করে যুবদলের লাড্ডান, পল্টন, বিহারি ক্যাম্পে কোটি কোটি টাকার মাদক বানিজ্য চলে। মানিকের সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস রাখেনা। স্থানীয় এমপি ও প্রশাসনের সাথে সুসম্পর্ক গড়েই আড়ালে চালাচ্ছে তার অপরাধ কর্মকান্ড। কাউন্সিলর মানিকের সকল অপকর্মের সঙ্গী ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আমান উল্লাহ আমান, ৫নং ওয়ার্ড যুবলীগের বহিস্কৃত যুবলীগ নেতা মোঃ জুয়েল রানা।
আমানের নেতৃত্বে ভাতিজা আরিফ ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সিমেন্ট মাসুম এভিনিউ ৫ এর বিভিন্ন সড়ক ও ফুটপাত নিয়ন্ত্রণ করে। সিমেন্ট মাসুম বালুর মাঠ এলাকায় মাদক ব্যবসা ও চোরাই অটোরিকশা কেনাবেঁচা করে। ভাতিজা আরিফ সড়কে দোকান বসিয়ে প্রত্যহ চাঁদা উঠায়।
জুয়েল রানার নেতৃত্বে ৫নং ওয়ার্ডের বাউনিয়াবাধ এলাকায় অবাদে মাদক বানিজ্য ও চুরি ছিনতাই যেন নিত্যদিনের। তৈরি করেছে কিশোর গ্যাং বাহিনি, এ গ্যাংয়ের মেইন লিডার রিপন,রুবেল, ইমরান তালুকদার, ছাত্রদলের মুসতাকিম ফয়সাল,গাল কাটা পারভেজ। সুমন,মোস্তফা, বিপ্লব মিধা।
মানিকের নেতৃত্বে হোপের গলি থেকে চাঁদা কালেকশন করে যুবদলের লাড্ডান, পল্টন। থেকে পান খোসলেই হেভিওয়েট নেতানেত্রীর মোবাইল নাম্বার ও মানিকের সাথে থাকা তাদের ফটো দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে রাখে।
বিভিন্ন সুত্রে এ জানা গেছে যুব সংঘ ক্লাবে কিশোরদের নিয়ে গভির রাতে কাউন্সিলর মানিক জুয়েল রানা আমান উল্লাহ ও কাইল্যা আলম তাদের নানা ভাবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন।

RELATED ARTICLES

Most Popular