সাবিকুন নাহার। (লন্ডন )
প্রবাস আর প্রবাসীদের অধিকার ।
বহু কিছু হারিয়ে গেছে চাইবনা ফিরে আর।
এ জীবন যৌবন আমার নাম দিয়েছি প্রবাস তার।
হাজারো যন্ত্রনা, বঞ্ছনা গঞ্জনা করো মার্জনা মোরে।
আজও অথর্ব স্বপ্ন দেখি ফিরব আমি ঘরে।
অনেক দিন ধরে ভাবছি যারা নিজ দেশের বাহিরে থাকেন তাদের কিছু যন্ত্রনা বঞ্চনার কথা তুলে ধরব এ ছাড়া আজকাল প্রবাসীদের নিয়ে রমরমা ব্যবসা বর্তমান ভার্চুয়াল মাধ্যমে সব চাইতে সফল ব্যবসা তা বাংলার জনগণ ছাড়া প্রবাসীরাও যে ভালো জানে তা আর প্রমান করতে হবে না।
এই যেমন আজকাল প্রায়ই দেখা যায় প্রবাসীদের নিজ দেশের কিছু লোক অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমগুলোতে বিভিন্ন মহলের তথা মন্ত্রী মহল থেকে ধরে মুখুশধারী ভদ্রলোকদের বাক্যস্রাবের শিকার হন প্রবাসীরা। কখনো কখনো সংবাদ মাধ্যমগুলোতে আর বিভিন্ন টকশো গুলোতে ও তাদের অবস্থান ও কর্ম পরিধি নিয়ে সমালোচনার শিকার হন প্রবাসীরা। রাষ্ট্র তথা পরিবারের অবহেলা হতে বাদ পড়েন না হতভাগ্য প্রবাসীরা।
আবার রীতিমতো এসব করে ভার্চুয়াল জগতে ভাইরাল ও হচ্ছে রাতারাতি।
কি এক আজব অশনী রোগে মুহ্যমান জীবন।
চাইলেও নিঃষ্পেষিত করিতে পারি না,
রোগ হয়েছে আজন্ম এখন। …
আজকাল আমার একটা রোগ হইয়াছে বিরক্ত রোগ যাহা কোরোনার মতো রোগকেও হার মানিয়েছে এজন্য বলছি করোনা আক্রান্ত হয়ে আমার পুরো পরিবারের মুক্তি পেলেও বাঙালির দেয়া বিরক্ত রোগ থেকে মুক্তি পাইনি।
কে জানে আজীবন বয়ে যেতে হবে কি না ?
যাই হোক অথর্ব জীবন প্রবাস
এই যেমন রাষ্ট্র সকল রেমিট্যান্স নিচ্ছে ,জীবন থেকে অর্থ কিংবা সম্পদ নামে যা আছে সিংহ ভাগ আমার দেশ কে দিয়ে যাই। গত পনেরো দিনে জুলাই মাসে ২০২১ বাংলদেশে অর্থ পৌঁছছে দশ হাজার সাতশ কোটি টাকা l বাকি পুরো বছরটা আপনারা হিসেবে করে নিবেন। আর হ্যাঁ এটা কিন্তু সরকারি হিসেবে আর বাহিরে যে তার দ্বিগুন যায় তার হিসেবটাও আছে প্রবাস পাতায়।
কিছু সুকৌশলী মহল প্রবাসীদের বাহ্ বাহ্ দিলেও জীবন কষাগাতে পিষ্ঠ কিছু প্রবাসী বুঝেন তাদের বাহ্ বাহ্ এর মানে কি ?ভাগ্যের সাথে হেরে যাওয়া জীবন গুলো অন্যের বিলাসিতার যে বিরাট একটা অংশ জুড়ে আছেন প্রবাসীরা তা জানেন। জেনেই বা লাভ কি যেই লাউ সেই কদু এই তো সে দিন আমার এক প্রবাসী ভাই দুঃখ করে বললো আপু দেশের মানুষ গুলো মনে করে আমি টাকা বানানোর মেশিন যখনি ফোন দেই সৌজন্য বিনিময় শেষে শুরু হয় যত সমস্যার কথা তার পর সমাধান হয় টাকা দিয়ে আমি বললাম টাকা যেহেতু সকল সমস্যার সমাধান আর যেটা তোমায় হাজার প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়ে অর্জন করতে হয় তবে তার ৫০% বন্ধ করতে শুরু করো ।
আসলে কাউকে স্বাবলম্ববী করার নামে প্রবাসীরা তাদের নিকম্মা করে ফেলছে। পরিবার তথা রাষ্ট্র যাই বলেন না কেনা। এমন চিত্র আজকাল হরহামেশা দেখতে পাচ্ছি। মনো দূর দর্শনে উপলব্ধি গুলো কথা বলে প্রবাসীদের জন্য যে নিজদেশের মনোপটে অনুভূতি গুলো দিনে দিনে নিত্য চাহিদার কাছে ভোঁতা হতে শুরু করে ,আমরা প্রবাসীরা তা হাজার বার অনুভব করতে পারি। কথায় আছে না !!!?
..নিঃসঙ্গতা চিন্তার ক্ষয় ….
অনুভূতি আর সহমর্মিতা গুলো
প্রবাস মনে জেগে রয়।
তারই এই নিঃসঙ্গ দুর্বল অনুভূতি কে পুঁজি করে শুরু হয় তাদের অর্থ চাহিদা। এমন একটা ভঙ্গিতে প্রবাসীদের কাছে অর্থ চাহিদা দেয়া হয় মনে হয় প্রবাসীদের কাজ হচ্ছে :
এক পেট খেয়ে রাতে সুখের নিদ্রা দিয়ে।
শুভ সকালের শুভেচ্ছা নিয়ে ,
দাঁড়িয়ে আছেন অর্থ দেবতা।
অপেক্ষায় সাজিয়ে অর্থ মালা।
যেন কাজ শুধু অর্থ সংগ্রহ করার পালা।
কে শুনে কার কথা ? আমার দেশের ভার্চুয়াল জগতে এইতো গেলো প্রবাসীদের নিয়ে আমার দেশের ব্যবহার পরিকল্পনা পন্থা ।
কিন্তু লিখতে লিখতে মনে পরে গেলো প্রবাস অথর্বের উন্মাদনাও যে আজকাল ভার্চুয়াল জগতের সাথে কম নয়। তারই অবস্থানটা তুলে ধরতে রুচিতে বাঁধে তার পরও বড় অতিষ্টতায় লিখছি কিছু অথর্বদের মনোজীবন।
মস্তিষ্ক যে অনেক আগে বাঙালির বিলীন, তা আর বার বার উল্লেখ করে। নিজের অস্তিত্বের অসম্মান কি করে করি বলেন ?এইতো সেদিন দেখিলাম প্রবাস ছন্দ। কোন এক বাঙ্গলী রমণীর ভার্চুয়াল মাধ্যমে তার নিজের স্বর্গ দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে অথর্ব প্রবাসীদের লাখো লক্ষ টাকা। অবশেষে তার গামঝরা নোনতা টাকা ভাসিয়ে দিলো আকাঙ্খার লোনা সমুদ্র স্রোতে । ..সত্যি হাসি পায় এমন ভাবনার আনন্দ বিলাসে।
অবশেষে যেটুকু বলে শেষ করতে চাই। …প্রবাসীদের বুঝার সক্ষমতা শুধুই প্রবাসির। আসুন সচেতন হই। নিজে নিজের যত্ন নেই।
প্রবাসীরা দীর্ঘজীবি হউক। স্বগর্বে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে বাঁচুক। সুস্থ্য থাকুক আগামী প্রজন্ম।
সাবিকুন নাহার। (লন্ডন )