Saturday, September 21, 2024
Homeজাতীয়নোয়াখালী আওয়ামীলীগের দু'গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ সাংবাদিকের মৃত্যু

নোয়াখালী আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ সাংবাদিকের মৃত্যু

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ আওয়ালীগের ওবায়দুল কাদের ও ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই মির্জা কাদের সমর্থকদের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির শনিবার রাত পৌনে ১১ টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)

তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ক্যাম্প ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আলাউদ্দীন জানান, শুক্রবার দিবাগত রাতে বোরহানউদ্দিনকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তির পরপরই তার অবস্থা খারাপ থাকায় আইসিইউতে নেওয়া হয়। তার গলায় ছড়াগুলির আঘাত ছিল।

নিহত মুজাক্কির উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি ও অনলাইন নিউজপোর্টাল বার্তা বাজারের প্রতিনিধি ছিলেন। এছাড়া নোয়াখালীর স্থানীয় দৈনিকে দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করছিলেন, বিভিন্ন সময়ে একাধিক  জাতীয় দৈনিকে জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন।

স্থানীয়রা জানান,ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ভেঙে দিলে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এর জের ধরে ওবায়দুল কাদেরের সমর্থক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল অভিযোগ করেন, কাদের মির্জা সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন। এ অভিযোগ তুলে এর প্রতিবাদে চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট বাজারে শুক্রবার বিকেলে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেন বাদল।

পরে বাদলের অনুসারীরা চাপরাশিরহাট বাজারে মিছিল করতে গেলে আবদুল কাদের মির্জার সমর্থকদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আবদুল কাদের মির্জা এলে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয় এবং তারা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে সাংবাদিক মুজাক্কিরসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। এছাড়া আহত হন দু’পক্ষের অন্তত ৩০ জন। আহতদের মধ্যে সাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এদিকে শুক্রবার রাতে মুজাক্কিরকে আহত অবস্থায় প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতাল,  পরবর্তীতে নোয়াখালী জেলা হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থার অবনত  হওয়ায় রাতেই তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছিলো। ঢাকা মেডিকেলের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সাংবাদিক মুজাক্কির মৃত্যু কোলে ঢলে পড়েন।

এ নিয়ে এলাকায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী এ ঘটনায় ওবায়দুল কাদের ও তার ছোট ভাই মির্জা কাদেরকে দায়ী করেছেন।

RELATED ARTICLES

Most Popular