Friday, November 22, 2024
Homeমতামতরাজনৈতিক দল, প্রশাসন, গণমাধ্যম এদেশের কোথায় নেই ভারতীয় এজেন্ট প্রশ্ন ভিপি নুরের

রাজনৈতিক দল, প্রশাসন, গণমাধ্যম এদেশের কোথায় নেই ভারতীয় এজেন্ট প্রশ্ন ভিপি নুরের

গতকাল নিজের ফেইসবুক পেজ ‘ Nurul Haque Nur ‘থেকে লাইভে এসে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশে না আনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডাকসু’র সদ্য সাবেক ভিপি নুরুলহক নুর। নুর বলেন, নিজ দেশেই যাকে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির দোসর ও গুজরাটের কসাই হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়, তাকে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে এনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধূলিসাৎ করবেন না।

স্পষ্ট কথা আমরা ভারত বিরোধী নই, ভারতের আগ্রাসন বিরোধী। নিকটতম প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সু-সম্পর্ক থাকা প্রয়োজন । সেটি যেমন বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, ভারতের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কারণ বাংলাদেশের যেমন ভারতকে প্রয়োজন, ভৌগোলিক কারণে ভারতেরও তেমনি বাংলাদেশকে প্রয়োজন।

ভারত-বাংলাদেশ দু’দেশের সম্পর্ক হবে দু’দেশের জনগণের স্বার্থ ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে, গোলামি বা দাসত্বের ভিত্তিতেই নয়। ভারতকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। এটা আমাদের জন্য খুবই উদ্বেগের, ভারত আজকে আমাদের দেশের রাজনৈতিক দল থেকে প্রশাসন, গণমাধ্যম সব জায়গায় ভারত তাদের এজেন্ট নিয়োগ করে বাংলাদেশে ক্ষমতার কলকাঠি নাড়ার অপচেষ্টা করছে। প্রতিনিয়ত সীমান্ত হত্যা, বাণিজ্যিক  ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালালেও বর্তমান সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে সেগুলোর প্রতিবাদ না করে ভারতের গোলামি করছে। যা এ দেশের জনগণ মেনে নিবে না।

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে ভারতের অনন্য নেতৃবৃন্দ আসলে আমাদের আপত্তি নেই। তবে গুজরাটের কসাই দাঙ্গাবাজ মোদিকে বাংলাদেশে আসতে দেওয়া হবে না। তারপরও সরকার যদি উগ্র হিন্দুত্ববাদী মোদিকে আনতে চায় তাহলে দেশের ছাত্র-যুবকদের নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। দলমত নির্বিশেষে সকল দেশপ্রেমিক জনগণকে এ সংগ্রামে শামিল হওয়ার আহ্বান জানাই।

উল্লেখ্য গত শুক্রবার নুরদের সংগঠন  ‘ বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ ‘ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ ও  প্রেসক্লাব থেকে চার-পাঁচ হাজার মানুষ সহকারে মৎস্য ভবন মোড়, টিএসসি, শহীদ মিনার, নীলক্ষেত ও শাহবাগে বিক্ষোভ মিছিল করে।

RELATED ARTICLES

Most Popular