নবদূত রিপোর্ট:
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ইস্যুতে ধর্মান্ধ প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাম্প্রদায়িক অপতৎপরতা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ এনে এর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ছাত্রলীগ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে এই দাবি জানান সংগঠনটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ’ এর আয়োজন করে।
ঢাবি ছাত্রলীগের সনজিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য প্রমুখ। এছাড়া সমাবেশে ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে আল-নাহিয়ান খান জয় বলেন, আজ যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তখনই পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের বুক কেপে উঠেছে। বর্তমানে এই মৌলবাদী গোষ্ঠী এই ক্যাম্পাসে বিভিন্ন নামে সাম্প্রদায়িক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। শান্তির ধর্ম ইসলামকে ব্যবহার করে মিথ্যা বলে মৌলবাদীরা এসব অপতৎপরতা চালায়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্ররা এই মৌলবাদী গোষ্ঠীদের কখনোই মেনে নেবে না। তারাই এই গোষ্ঠীকে দমন করবে।
লেখক ভট্টাচার্য বলেন, আজ বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারছে। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে সারাদেশ যখন উন্নয়নের জোয়ারে অগ্রসর হচ্ছে, এই সময়েও স্বাদীনতা বিরোধীদের আস্ফালন বন্ধ হয়নি। শুধুমাত্র তাদের ব্যানারের পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু তাদের উদ্দেশ্যের পরিবর্তন হয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের মাধ্যমে সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এই ক্যাম্পাসে মৌলবাদী রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই বিষয়টি এই গোষ্ঠী জানতে পেরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লেবাস ধরে, একেকটি ব্যানারের মাধ্যমে ধর্মকে ব্যবহার করে মৌলবাদের চর্চা করতে চায়। এই সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী গোষ্ঠীকে প্রতিহত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, প্রাচ্যের অক্সফোড নামে খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মৌলবাদের চর্চা দিন দিন বেড়েই চলছে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের এজেন্ডা নিয়ে সামনে এই মৌলবাদী গোষ্ঠী এক ধরনের মোড়কের ভেতরে অন্য পণ্য দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবেশ পরিষদ স্বীকৃত সংগঠনের বাইরেও ব্যাঙের ছাতার মতো বিভিন্ন ধরনের সংগঠন গড়ে উঠছে। এদেরকে প্রকান্তরে ছত্রছায়া দিচ্ছে ঢাবি প্রশাসন। প্রসাশনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে প্রশাসন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। বারবার বলার পরেও এই মৌলবাদীদের প্রশাসন আস্কারা দিচ্ছে। প্রশাসনের এই ধরনের কর্মকাণ্ড আমাদের হতাশ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এসব মৌলবাদীদের রুখতে ভূমিকা পালন করতে হবে।
সাদ্দাম হোসেন বলেন, বর্তমানে ধর্মান্ধ মৌলবাদী রাজনীতি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এসব মৌলবাদী গোষ্ঠীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নৈতিক দায়িত্ব।