নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুলহক নুরকে উত্তর বাড্ডা থেকে ডিবি পরিচয়ে অপহরনের অভিযোগ উঠেছে। এতে গনফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের চেয়ারম্যান জাফরুল্লাহ চৌধুরী নিন্দা জানিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে একাধিক বার গুম কিংবা খুন করার জন্য ভারত সরকারের একটা চাপ রয়েছে বলে মিডিয়াতে দাবী করেছেন। গতকাল সন্ধ্যায় তেমন একটি চেষ্টা হয়েছে বলে আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে জানতে পেরেছি। সে সময় তাঁর সংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের কয়েকজন নেতা-কর্মীকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগেও গত কয়েকদিনে বেশ কিছু ছাত্র-জনতাকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, কারো বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তাঁকে আইনী প্রক্রিয়া নিশ্চিত করে গ্রেফতার করা যেতে পারে। কিন্তু কাউকে গুম করার চেষ্টা করা কিংবা বিনা ওয়ারেন্টে তুলে নিয়ে কোনো একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো কিংবা নতুন কোনো মামলা দেয়া মানবাধিকারের এবং সাংবিধানিক অধিকারের লঙ্ঘন। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। অনতিবিলম্বে এসব বেআইনি এবং অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া বন্ধ করার দাবী জানাই।
বিবৃতি দাতারা হলেন, ড.কামাল হোসেন-সভাপতি গণফোরাম ,ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী- ট্রাস্টি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, আসিফ নজরুল – অধ্যাপক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শহিদুল আলম- আন্তর্জাতিক আলোকচিত্রী, জোনায়েদ সাকী- সমন্বয়কারী গণসংহতি আন্দোলন, রেহনুমা আহমেদ- নৃবিজ্ঞানী, নঈম জাহাঙ্গীর-সাবেক মহাসচিব বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ইশতিয়াক আজিজ উলফত- মুক্তিযোদ্ধা, ড.রেজা কিবরিয়া-অর্থনীতিবিদ, দিলারা চৌধুরী- অধ্যাপক জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু -মহাসচিব ভাসানী অনুসারী পরিষদ, ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান- সদস্য ভাসানী অনুসারী পরিষদ জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু-প্রেস সচিব গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, রুবী আমানউল্লাহ- নির্বাহী পরিচালক নারীর জন্য সুশাসন ম. ইনামুল হক- পানি বিশেষজ্ঞ, ফিরোজ আহমেদ – লেখক ও গবেষক, হাসনাত কাইয়ূম- সংগঠক রাষ্ট্রচিন্তা, দিদারুল ভূঁইয়া- সদস্য, রাষ্ট্রচিন্তা।