শাসক সবসময়ই শোষণ করে আসছে আমাদের এই উপমহাদেশে। বিভিন্ন প্লাটফর্ম অনুযায়ী বিভিন্ন শাসকের জন্ম। সহজভাবে বললে প্রতিটা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার একেকজন শাসক।
যাদের রূপরেখা অনুযায়ী চলে প্রতিটা সেক্টর। যেমনটা আমাদের গার্মেন্টস সেক্টর। এখানে না আছে শিক্ষার কোন দাম না আছে দক্ষতার আহামরি দাম।(দাম শুধু বেতন নির্ভর নয়) এখানে চাকরি করা মানে আপনাকে রিমান্ডে রাখার মত।
দীর্ঘসময় ক্লান্তিহীন ভাবে আপনাকে দাড়িয়ে দাড়িয়ে পরিশ্রম করেই যেতে হবে। যাঁরা নিচের চাকুরীজীবি তাদের বেতন ৭-৮-৯/১০ হাজার। এর মধ্যে কাটা যাবে উপস্থিত না থাকলে, কোন ভুল করলে সহ নানান খুটিনাটি বিষয়ে। তবুও যখন সময় আসবে বেতন দেওয়ার তখন আপনাকে হয়তো ঠিকমতো দিবেনা নয়তো বেতনের বৃহৎ একটা অংশ কেটে রাখবে।
নারীসমাজের বৃহৎ একটা অংশ এই পেশায় যুক্ত। এবং যাদের বেতন ১০ এর মধ্যে তাদের মাধ্যমেই সম্পন্ন হয় ড্রেস তৈরির বৃহৎ একটা অংশ। তবুও নানাবিধ নির্যাতন, নিপীড়ন তাদের সহ্য করতে হয় সামান্য কিছু টাকার জন্য। এবং এই পাওনা টাকার জন্য যখন তারা মাঠে নামে তখনই শুরু হয় হামলা, মামলা, টিয়ার সেল এবং চাকরি থেকে অব্যাহতি।
জেনে রাখা ভালো যাদের বিনিময়ে অর্জন তাদের পিছে ফেলে কেউই কখনো বড় হতে পারেনা এবং পারবে না। সুতরাং সাময়িক ফলাফল ভালো হলেও এর সুদুর অতীত খুবই আশংকাজনক।
রমজান উপলক্ষে প্রতিটা পোশাকশিল্পের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীকে কোন প্রকার হয়রানি না করে বেতনভাতা পৌঁছে দিক এটাই কামনা করি।
মো. সায়েদ আফ্রিদী
শিক্ষার্থী
উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগ,ঢাকা কলেজ