নবদূত রিপোর্ট:
বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত উর্ধ্বগতি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উপর হামলা ও হুমকির প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদ এর সদস্যসচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুলহক নুর বলেন, এই সরকার লুটপাটের উন্নয়ন করছে। আওয়ামীলীগের নেতারা পাগল হয়ে গেছে তাই তো ড.রেজা কিবরিয়ার বাবা, যিনি মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় আনার জন্য কাজ করেছেন তাকে নিয়ে বাজে কথা বলছেন। এই সরকার ড.ইউনুসের মত সম্মানিত ব্যক্তি কে কিভাবে অপমান করেছে আমরা দেখেছি। রিজার্ভ নিয়ে সরকার যে হিসাব দিচ্ছে তা প্রকৃত হিসাব নয়, সেখানে অনেক ফাকঁফোকর রয়েছে।
নুর আরও বলেন, ছাত্রলীগের সাথে জড়িত হয়ে ভালো ছাত্ররাও মাদকাসক্ত হয়ে যায়,খুনি হয়ে যায়।এরা শুধু ভিন্ন দলের লোককে খুন করে না, এরা নিজের দলের লোককেও খুন করে।বাংলাদেশের এই কর্তৃত্ববাদ সরকার যদি আরো এক মেয়াদ থাকে, তাহলে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। রাজনৈতিক দল গুলোর উদ্দেশ্যে বলতে চাই, গাছে কাঁঠাল গোফেঁ তেল, এই অভ্যাস পরিহার করুন। বিদেশীরা কখনো ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়ে যাবে না।ক্ষমতায় বসতে চাইলে এদেশের জনগণকে নিয়ে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। জনগণ রাস্তায় নামলেই সরকারকে হঠাতে একমাস কিংবা একবছর লাগবে না এক সপ্তাহ সময় লাগবে মাত্র।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্যসচিব আতাউল্লাহ বলেন,সবকিছুর দাম বাড়ছে। মানুষ ক্ষুধা ও দারিদ্রের সাথে সংগ্রাম করছে। দেশ ফেরাউনের নীতিতে শাসন হচ্ছে, জালিম শাসক তার জুলুমের মসনত টিকিয়ে রাখতে প্রতিবাদী মানুষকে ডুবিয়ে মারতে চায়, ফেরাউন ডুবিয়ে মারতে পারেনি ,শ্রীলঙ্কার রাজাপাকসে জনগণকে ডুবিয়ে মারতে চেয়ে উল্টো ঘটনা ঘটেছে।
গণঅধিকার পরিষদ এর যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হানিফ বলেন,ড.রেজা কিবরিয়া ও নুরুলহক নুরের নেতৃত্বে গণঅধিকার পরিষদ এর উত্থান কে সরকার ভয় পায় বলে দেশের বিভিন্ন স্থানে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছে। আপনারা তো বলেছেন পদ্মা নদীতে চুবাবেন,জনগণ সুযোগ পেলে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বুড়িগঙ্গা নদীতে চুবাবে কেননা বুড়িগঙ্গার পানিতে ময়লা বেশি। ২০১৪ সাল কিংবা ২০১৮ সালের নির্বাচনের মত নির্বাচন আর হতে দিবে না গণঅধিকার পরিষদ।
বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক জাফর মাহমুদ বলেন,এই সরকারের দুই গুণ, দূর্নীতি আর মানুষ খুন। সরকারের সমস্ত শরীরে ক্যান্সার ধরেছে এখন মেরোফেনাম ও এস্টেরয়েড দিতে হবে। এ সরকার মানুষের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার , কথার অধিকার কেড়ে নিয়েছে।সবাইকে নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নিজাম উদ্দিন এর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন,গণঅধিকার পরিষদ যুগ্ম আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন,সাদ্দাম হোসেন,শাকিলজামান যুগ্যি সদস্যসচিব আব্দুজ জাহের ও সহকারি সদস্যসচিব ফাতেমা তাসনিম। পেশাজীবী অধিকার পরিষদ এর যুগ্ম আহ্বায়ক রিজওয়ান রুপ দীনেশ, ইঞ্জিনিয়ার জাহিদুল আলম,শামসুল আলম। বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ এর সভাপতি মনজুর মুরশেদ, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, ছাত্র অধিকার পরিষদ এর সহ-সভাপতি সুহেল মৃধা, বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান প্রমুখ।