চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ও আহত ব্যক্তিদের রক্তের প্রয়োজন মেটানো সহ বিভিন্ন সহযোগিতা নিয়ে পাশে এসেছেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রোববার (৫ জুন) বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের সামনে পানি, স্যালাইনসহকারে ডেস্ক নিয়ে অবস্থান করতে দেখা যায় ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের। রক্তদাতাদের লিস্ট করা এবং প্রয়োজনে রক্তও দিচ্ছেন তারা।
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আখতার হোসেন বলেন, বিকেল থেকে আমরা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অবস্থান করছি। বিশুদ্ধ পানি এবং স্যালাইন দিচ্ছি। জরুরি রক্তের প্রয়োজনে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া সীতাকুণ্ড থেকে আসা কারো থাকার সমস্যা হলে আমরা সে ব্যবস্থাও করব।
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি আসিফ মাহমুদ বলেন, মালিকপক্ষের অসচেতনতা এবং অবহেলার কারণে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে ঘটে যাওয়া দূর্ঘটনায় হতাহতের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। স্থানীয় ভালো হাসপাতাল না থাকায় গুরুতর রোগীদের শেখ হাসিনা বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে আনা হচ্ছে। এই সংকটময় মুহুর্তে রোগীদের সেবায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে সহায়তা ও তথ্য কেন্দ্র স্থাপন করি। প্রাথমিকভাবে রোগীদের রক্ত সংগ্রহ, ঔষধ সরবরাহ, রোগীর আত্নীয়দের রাতে থাকার ব্যবস্থা ও সার্বিক তথ্য সেবা দিয়ে সহায়তা করার চেষ্টা করছি আমরা। এই সংকটময় মুহুর্তে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।
এদিকে, বিএম কনটেইনার ডিপোতে লাগা আগুন এখনও জ্বলছে। আগুনের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯ জনে। দগ্ধ ও আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন দুই শতাধিক মানুষ। ফায়ার সার্ভিস বলছে, লাশের সারি আরও দীর্ঘ হতে পারে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিস্ফোরণের ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ ১৪ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বার্নের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, আমাদের এখানে সন্ধার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ৭ জন এসেছেন। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ পর্যন্ত আমাদের এখানে দগ্ধ ১৪ জনকে আনা হয়েছে। সবারই ইনহেলেশন (শ্বাসনালী) বার্ন রয়েছে। তারা কেউই শঙ্কামুক্ত নন।