নড়াইলে পুলিশের উপস্থিতিতে কলেজ অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে হেনস্তার প্রতিবাদ এবং সাভারে কলেজ শিক্ষক উৎপল কুমার বিশ্বাসের হত্যাকারীর বিচারের দাবি জানিয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদ।
বুধবার (২৯ জুন) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ঢাবি শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়। পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাহিত্য সম্পাদক জাহিদ আহসানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য প্রদান করেন পরিষদের ঢাবি শাখার সভাপতি আখতার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন, সহ-সভাপতি আসিফমাহমুদ সহ অন্যান্যরা।
কলেজ শিক্ষক উৎপল কুমারের হত্যার বিচারের দাবিতে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আমরণ অনশনরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে সংহতি জ্ঞাপন করে আখতার হোসেন বলেন, আজ বাংলাদেশে সংখ্যাগুরু কিংবা সংখ্যালঘু, হিন্দু কিংবা মুসলিম কেউই নিরাপদে নেই। বাংলাদেশে কেবল ভালো আছে ক্ষমতার উচ্ছিষ্টভোগীরা। বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে হলে সংখ্যাগুরু-সংখ্যালঘু বিভাজন করা যাবে না। একজন হিন্দুভাই নিপীড়িত হলে আমি একজন মুসলিম ভাই হিসাবে তার প্রতিবাদ জানাবো। একজন মুসলিম ভাই নিপীড়িত হলে আমার একজন হিন্দুভাই তার প্রতিবাদ জানাবে, এভাবেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।”
সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন বলেন, নড়াইলে ক্লাস থেকে তুলে নিয়ে একজন শিক্ষককে হেনস্তা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস থেকে তুলে নিয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদের একজন কর্মীকে ছাত্রলীগের হামলা – সবই একইসূত্রে গাঁথা। আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের ভোটাধিকার ও মৌলিক মানবাধিকার হরণ করে দেশের মানুষকে বিভাজিত করে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যেকোনো আন্দোলনে সরকার পুলিশ বাহিনী দিয়ে হামলা করে মানুষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়, অথচ নড়াইলে পুলিশের মৌন সমর্থন ব্যতীত এমন ন্যাক্করজনক ঘটেছে – তা আমরা বিশ্বাস করি না। আমরা সম্প্রীতির বাংলাদেশ চাই! আমাদের মাঝে বিভাজনকারীদের আমরা রুখে দিবো।”
সাভারের ঘটনায় ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্ট তা পাওয়া যাবে উল্লেখ করে আসিফ মাহমুদ বলেন, সারা বাংলাদেশে ছাত্রলীগ কিশোর-তরুণদেরকে পড়াশোনা থেকে বিচ্যুত করে বখাটে বানাচ্ছে। এই বখাটে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের লাঞ্চিত করছে, প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের লাঞ্চিত করেছে ছাত্রলীগ, কুয়েটে একজন শিক্ষককে মানসিক নির্যাতন করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে ছাত্রলীগ। আমি নিশ্চিত, সাভারের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হলে, সেখানেও ক্ষমতাসীন দল কিংবা তাদের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে।