Saturday, December 21, 2024
Homeরাজনীতিএদেশে আন্দোলনে জিতলে, নির্বাচনেও জেতা যায়: ওবায়দুল কাদের

এদেশে আন্দোলনে জিতলে, নির্বাচনেও জেতা যায়: ওবায়দুল কাদের

বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এদেশে আন্দোলনে জিতলে, নিবাচনেও জেতা যায়।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, কাঁদতে কাঁদতে অনেক চোখের পানি ঝরালেন। আমাদের কত চোখের পানি কাঁদতে কাঁদতে শুকিয়ে গেছে! কোথায় আন্দোলন? আন্দোলনের সোনার হরিণ দেখা তো দিলো না। আন্দোলনের সোনার হরিণ দেখা না দেখা দিলে,ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন কখনো দেখা দিবে না। আন্দোলনে জয় নিয়েই নির্বাচনে যেতে হয়। এদেশে আন্দোলনে জিতলে নির্বাচনেও জেতা যায়। ষড়যন্ত্র করে কাউকে হত্যা করতে পারবেন,ক্ষমতায় যেতে পারবেন না। ১৩বছর ধরে কত দেখলাম, কোরবানির ইদের পর, রোজার ইদের পর,দিন যায়,সপ্তাহ, মাস, বছর যায়, পদ্মা মেঘনার কত পানি গড়িয়ে যায়। কিন্তু ফখরুল সাহেবদের আন্দোলনের সোনার হরিণের দেখা পাওয়া যায় না। ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন দিল্লী দুরস্ত। এখনো অনেক দুরে।

বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসিতে ‘পিতার শোক, কন্যার শক্তি, বাংলার অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি’ শীর্ষক আলোচনা সভার প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল সাহেব কষ্ট প্রকাশ করে কী করবেন,শেখ হাসিনাকে আল্লাহ ক্ষমতা দিয়েছেন,তিনি ভাগ্যবতী। আল্লাহ এদেশে একজনকে সৃষ্টি করেছেন স্বাধীনতার জন্য, আরেকজনকে সৃষ্টি করেছেন মুক্তির জন্য। শেখ হাসিনার মুক্তির জন্য লড়ে যাচ্ছেন। পদ্মা ব্রিজ নিয়ে অনেক অপপ্রচার হলো। সেটি এখন দৃশ্যমান বাস্তবতা। ফখরুল সাহেবকে বলবো পদ্মা ব্রিজ দেখে যাবেন। যে তো হবেই কারণ সামনে নির্বাচন। যতই বলেন, আমরা তো বুঝি ভিতরে বিশাল মনোনয়ন বাণিজ্য আছে।

অনেকে বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কা বানিয়ে দিতে চাই উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, এখনো চল্লিশে কাছাকাছি আমাদের রিজার্ভ।৪০-৩৯কাছাকাছি উঠা নামা করেছে। গত ছয় মাসে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে, এর আগের কখনো ছয় মাসে এই পরিমাণ রেমিট্যান্স আসে নি। আমরা দোষী না,আমরা অপরাধী না বৈশ্বিক পরিস্থিতির মূল্য দিতে হচ্ছে আমাদেরকে। রাত দিন জেগে শেখ হাসিনাকে মানুষের কথা ভাবতে হচ্ছে। সরকার প্রধান হয়ে তিনি প্রকাশ্যে বলেছেন মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। এবং এই কষ্ট লাগবে তিনি চেষ্টা করে যাচ্ছেন। অবশ্যই সুদিন আসবে।

এসময় ঢাবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন গবেষক, ইতিহাসবিদ ও প্রাবন্ধিক অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।

RELATED ARTICLES

Most Popular