ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই) বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ সাংবিধানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত মৌলিক অধিকারসমূহ থেকে বঞ্চিত। মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্রে উল্লিখিত সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত, ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। ইসলামী শাসনব্যবস্থা মানবীয় মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কঠোর বিধান ও গুরুত্ব প্রদান করেছে।
সকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল করীম আকরাম এর সভাপতিত্বে আয়োজিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন তিনি।
শায়খে চরমোনাই বলেন, দেশে ক্ষমতা ও রাজনৈতিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠার লড়াই দৃশ্যমান। যার বলি হচ্ছে সাধারণ নাগরিক ও শিক্ষার্থীরা। উন্নয়ন নিয়ে আত্মতুষ্টিতে হম্বিতম্বি করলেও ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকতে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে ভয় পায় ক্ষমতাসীন সরকার। প্রশাসন ও দলীয় শক্তি ব্যবহার করে বিরোধীমতকে দমন দেশবাসীকে আতঙ্কিত করছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নদওয়াতুল উলামা (লখনৌ, ভারত) সিনিয়র মুহাদ্দিস আল্লামা ফয়সাল আহমাদ ভাটকলী নদভী বলেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর তরুণ দায়িত্বশীলদের সমাজ সংস্কারের এ প্রচেষ্টা আমাকে আশাবাদী করেছে। মুজাদ্দিদে আল ফেসানির এ পদ্ধতি ব্যক্তিগঠন ও সমাজ পরিশোধনের কাজে অব্যহত থাকলে ইসলাম ও মুসলমানদের কল্যাণ সাধিত হবে।
সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল করীম আকরাম বলেন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও ভিন্নমতের ওপর অনৈতিক হস্তক্ষেপ ও ছাত্র সংগঠনের ব্যানারে অরাজকতা শিক্ষার্থীদের ওপরে অসাংবিধানিক আচরণ। যা ক্যাম্পাস রাজনীতিকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। তিনি ক্যাম্পাসগুলোতে সকল মত ও পথের সমান সুযোগ সৃষ্টিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রশাসনের কার্যকরী পদক্ষেপ প্রত্যাশা করেন।
সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ আল-আমিন এর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল ইউসুফ আহমাদ মানসুর, সাংগঠনিক সম্পাদক ইবরাহীম হুসাইন মৃধা, প্রশিক্ষণ সম্পাদক নূরুল বশর আজিজী, দাওয়াহ সম্পাদক শেখ ইহতেশাম বিল্লাহ আজিজী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সুলাইমান দেওয়ান সাকিব, দফতর সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, প্রচার ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক মুনতাছির আহমাদ, বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মাহবুব হোসেন মানিক প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধি সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি, জবি, জাবি, চবি, ববি, কুবি, নোবিপ্রবি, বশেমুরবিপ্রবি, পবিপ্রবি, ঢাকা কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, বাংলা কলেজ, তিতুমীর কলেজ, সোহরাওয়ার্দী কলেজ, বি এম, এম সি, রাজশাহী কলেজ, হাটহাজারী, পটিয়া, দারুল মাআরিফ, বগুড়া জামিল, চরমোনাই কওমিয়া, ঢাকা আলিয়া, বায়তুশ শরফ, চরমোনাই আলিয়া, তামিরুল মিল্লাত টঙ্গী, দারুন্নাজাতসহ সারাদেশের উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঁচ শতাধিক প্রতিনিধিবৃন্দ।