বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ ও ভয়েস অব জাস্টিসের যৌথ উদ্যোগে ১,নং ওডেনহ্যাম গার্ডেনে একটি প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যাক্তি কে এম আবু তাহের চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন ড.আবুল হাসনাত এম বি ই,
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি জামান আহমেদ সিদ্দিকি, গ্রেইটার লন্ডন কমিউনিটির প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার আতাউর রহমান, সাবেক ডেপুটি মেয়র কাউন্সিল ওহিদ আহমেদ, গ্রেটার সিলেট কমিনিটির চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ, কাউন্সিল ওসমান গনি,
বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি সাংগঠনিক সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার সাইদুজ্জামান সুমন, বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের যুক্তরাজ্য শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম শামীম আহমেদ, গ্রেটার সিলেট কমিনিটির সেক্রেটারির জেনারেল ফয়েজ আওয়াল, কমিনিটি নেতা ফয়েজ আহমেদ, মাস্টার আমির আলি, কাউন্সিলর আবু তালহা চৌধুরী , রাশেদ আহমেদ,ফারুক মিয়া ছাড়াও অন্যান্য কমিনিটির বিশিষ্টজন।
উক্ত মিটিং প্রবাসীদের হয়রানি বন্ধের দাবিতে সকল সংগঠন যৌথ ভাবে যুক্তরাজ্য থেকে একটি আন্দোলনের প্রয়োজন মনে করছেন।
প্রবাসীদের অধিকারের আন্দোলনে প্রবাসী অধিকার পরিষদের ১০ দফা দাবিকে উপযুক্ত দাবি বলে বক্তাগন সহমত প্রকাশ করেন।
উল্লেখ বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত সাতজন ব্রিটিশ ব্যবসায়ীকে একটি মামলায় গ্রেফতার করে আটদিন কারাগারে রাখার পর বৃহস্পতিবার তারা জামিন পেয়েছেন।
বাংলাদেশে তাদের প্রতিষ্ঠিত একটি ইনস্যুরেন্স কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম-এ যোগ দিতে ঢাকায় গেলে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
তাদের ইনস্যুরেন্স কোম্পানির কাছ থেকে বীমার টাকা না পেয়ে চারজন গ্রাহক মামলা করলে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
কিন্তু বাংলাদেশি-বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই সাতজনকে হয়রানি করার জন্যই এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তারা মনে করছেন, এর ফলে ভবিষ্যতে ব্রিটেন প্রবাসীরা বাংলাদেশে এসে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত হতে পারে।
হয়রানির অভিযোগ
মাগুরার তিনজন এবং ঝিনাইদহের এক ব্যক্তি মাগুরায় মামলাটি দায়ের করেছিলেন। তাদের অভিযোগ হচ্ছে, হোমল্যান্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে তাদের বীমার মেয়াদ শেষ হলেও তারা টাকা পাচ্ছেন না।
হোমল্যান্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির সাতজন পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। তারা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ব্যবসায়ী।
সাতজন পরিচালকের আইনজীবী একেএম শফিকুজ্জামান মাগুরা থেকে বিবিসি বাংলাকে বলেন, বৃহস্পতিবার তাদের ঢাকা থেকে মাগুরার আদালতে আনা হয়। শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
যদিও এই কোম্পানির একজন চেয়ারম্যান আছে, একজন এমডি আছে, আরো তিনজন ডাইরেক্টর আছে। কারো বিরুদ্ধে মামলা করে নাই। শুধুমাত্র সাতজন লন্ডন প্রবাসীর বিরুদ্ধে মামলা করা হইছে,” বলেন আইনজীবী মি. শফিকুজ্জামান।
“প্রতিপক্ষরা তাদেরকে মামলায় গ্রেফতার করাইছে এবং এ মামলাটা করাইছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে।”
তবে এখানে ‘প্রতিপক্ষ’ কারা সেটি ব্যাখ্যা করেননি আইনজীবী শফিকুজ্জামান।