Friday, November 15, 2024
Homeরাজনীতিগণঅধিকার পরিষদের প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উৎযাপন

গণঅধিকার পরিষদের প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উৎযাপন

আজ বুধবার গণঅধিকার পরিষদের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন জাঁকজমক ভাবে পালন করা হয় দলটির পল্টন কার্যালয়ে।
এতে সভাপতিত্ব করেন গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড.রেজা কিবরিয়া।

সভাপতির বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড.রেজা কিবরিয়া বলেন,এই সরকারের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাবো না।এই সরকার দুই হাজার আলেমওলামদের আটক করে রেখেছে।এসব জনগণ ভালো চোখে দেখছে না।জনগণের শক্তি সরকার খুব শীঘ্রই দেখতে পারবে।

প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে গণঅধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুলহক নুর বলেন,আজকে যদি দেশকে বাঁচাতে হয় এই সরকারের পতনের দাবিতে আন্দোলন-সংগ্রামের বিকল্প নাই।সরকার রাষ্ট্র চালাতে ব্যর্থ হচ্ছে।সমাজে একটা নৈরাজ্য তৈরি হয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙ্গে পড়েছে।এর সরকারের পতনের দাবিতে যেকোন দলের সাথে যুগপৎ আন্দোলন করতে আমরা প্রস্তুত। এর সরকারের পতনের পর দুই বছর মেয়াদে জাতীয় সরকার হবে সেখানে বিভিন্ন দলের প্রতিনিধি থাকবে বলে মন্তব্য করেন নুর।
তিনি আরও বলেন আজকের এই পরিস্থিতির জন্য দুই পরিবার দায়ী। বিশেষ করে ৯০ এর পর যারাই ক্ষমতায় আসছিলো তারাই এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন,যুগপৎ আন্দোলনের ক্ষেত্রে কোন দ্বিমত নাই। আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাবো, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে।বাংলাদেশের মানুষ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। আজকের এই প্রেক্ষাপটে কারা জনগণের পক্ষে অবস্থান করছে, আর কারা ফ্যাসিস্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আগামী নির্বাচনে গিয়ে জাতির বিরুদ্ধচারণ করছে, তা জাতি পর্যবেক্ষণ করছে। আমরা যুগপৎ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পতন ঘটাবো।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমরা যে চেতনায়, মানসিকতায়, ইচ্ছায় পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলাম, তার তেমন কিছুই বাস্তবায়িত হয় নাই। আমাদের প্রধান লক্ষ্য ছিলো গণতন্ত্র নিরাপদ হবে, পাকিস্তানের বাইশ ধনী পরিবারের হাত থেকে আমরা মুক্তি পাবো। কিন্তু এর কিছুই আমরা পাই নাই

ফরহাদ মাজহার বলেন, অনেকেই এই সরকারকে ফ্যাসিস্ট বলতে চায় না,তবে আমি এাি সরকারকে ফ্যাসিস্ট বলবো। যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন চায় সুতরাং দেশে নির্বাচন হবে, বিএনপির কাজ হচ্ছে সকলকে নিয়ে বৃহত্তর জোট গড়ে তোলা।

গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি বলেন,এমন একটা সরকার ক্ষমতায় রয়েছে যারা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে। যারা প্রকাশ্যে ভোট চুরিকে জায়েজ করতে চেষ্টা করে। কখন মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান দিয়ে, কখনো প্রগতিশীলতার স্লোগান দিয়ে, কখনো উন্নয়নের স্লোগান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, “গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হবে, মানুষের ভোটাধিকার  ফিরিয়ে দিতে হবে। গণঅধিকার পরিষদ এর তরুণ নেতারা যেভাবে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে জীবন বাজি রেখে লড়াই করছে , আমি তাদের জন্য তাদের প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে শুভকামনা জানাই।”

গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খানের সঞ্চালনায় এসময় মেজর অব. জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, মেজর জেনারেল অব. আমসা আমিন, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সভাপতি ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ,সাইফুল হল, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

RELATED ARTICLES

Most Popular