গণঅধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে সরকারকে পদত্যাগ করে অর্ন্তবর্তী সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদের নেতারা।
সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড.রেজা কিবরিয়া বলেন,এই সরকার রিজার্ভ নিয়ে আমাদের
সঠিক তথ্য দিচ্ছে না। শেখ হাসিনা ওয়াজেদের ভোট চোর সরকার আমাদের সব অধিকার খর্ব করেছে। তারা আমাদের দেশকে এখন কোন অবস্থায় নিয়ে গেছে তা আপনারা দেখতে পারছেন। তাদের জ্বালানী উপদেষ্টা বলে কোন রিজার্ভ নেই। রিজার্ভের কোন সঠিক তথ্য তারা দিতে পারছে না। শেখ হাসিনা একটা সত্য কথা বলেছেন যে দুর্ভিক্ষ আসবে এই কথা সঠিক তাই আমরা এই সরকারের হাত থেকে মুক্তি চাই। আজকে জনস্রোত থেকে বুঝা যাচ্ছে এই সরকারের আর বেশী দিন বাকী নেই। গণঅধিকার পরিষদের হাত ধরেই জনগণের মুক্তি আসবে ইনশাআল্লাহ।
গণঅধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুলহক নুর বলেন,জেলে আটক সকল আলেমওলামদের মুক্তি দিতে হবে তা না হলে এই সরকারের পরিণতি ভয়াবহ হবে,আর নয় ছয় করে পার পাবে না এই বিনা ভোটের সরকার ভারতের সহযোগিতায় আর কোন পাতানো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না।দিল্লীর তাবেদারী করে আর ক্ষমতায় থাকা যাবে না।নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা সারাদেশে আপামর জনতাকে সংগঠিত করুন, খুব শীঘ্রই সরকার পতনের ডাক আসবে।দেশকে বাচাঁতে, দেশের মানুষকে বাচাঁতে যেই বিরোধী দলই সরকার পতনের ডাক দিবে সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
নুর আরও বলেন উন্নয়নের নামে প্রকল্প গুলোর ব্যয় বাড়িয়ে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের লুটপাট করার সুযোগ করে দিয়েছে।উন্নয়নের মহাসড়কের কথা বলে সরকার দেশকে খাদের কিনারায় নিয়ে এসেছে।এই লুটপাট কারী সরকারকে ক্ষমতায় রাখা যাবে না। পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলেন আপনারা বেআইনি নির্দেশ পালন করবেন না,জনগণের পাশে থাকুন,আমরা কথা দিচ্ছি সরকার।পতন হলে আপনাদের কারও চাকরি যাবে না।ছাত্র, যুব ও আপামর জনতাদের নিয়ে দূর্বার।আন্দোলন গড়ে তোলা হবে সেই আন্দোলনে জনগণকে যুক্ত হওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানান নুরুলহক নুর।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমানের সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম হাসান আল মামুন,রাশেদ খান,ফারুক হাসান,ব্রিঃহাবিবুর রহমান আবু হানিফ, যুগ্ম সদস্যসচিব তামান্না ফেরদৌস শিখা,ফাতেমা তাসনিম সহ ছাত্র, যুব,শ্রমিক, ও পেশাজীবী অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ের নিচে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে এক র্যালী কার্যালয়ের নিচ থেকে শুরু করে ফকিরাপুল, কাকরাইল মোড় হয়ে পল্টন,জিরো পয়েন্ট হয়ে কাকরাইল মোড়ে এসে শেষ হয়।