বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কোটি প্রবাসী । যারা প্রতিনিয়ত দেশকে তাদের রক্তে উপার্জিত রেমিট্যান্স দিয়ে দেশের অর্থনীতির কাটাকে উর্ধমুখী করে রেখেছেন। বর্তমান করোনা মহামারির সময়েও রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিলো রেকর্ড সমান। প্রবাসের মাটিতে দেশের জন্য যুদ্ধ করা এ অকুতোভয় সৈনিক যখন নিজের দেশেই হামলা মামলা এমনকি হত্যার শিকার হন আমি একজন প্রবাসী হিসেবে কখনই তা মেনে নিতে পারি না।
সন্তান পৃথিবীর যে কোন প্রান্তেই থাকুক না কেন তার কাছে সবচেয়ে নিরাপদ স্থান হলো তার মায়ের কোল। আর একজন প্রবাসী বিশ্বের যে প্রান্তেই থাকুক না কেন, তার কাছে সবচেয়ে নিরাপদ স্থান হওয়া উচিত ছিলো তার মাতৃভূমি। অথচ,বিগত দিন গুলোতে বহু প্রবাসীর উপর হামলা করে তাদের আহত করা হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকে নাম লিখিয়েছেন মৃতের খাতায়। কিন্তু তাদের এ হামলা বা হত্যার কোন বিচার হয় নি। শুধু প্রবাসীই নয়, প্রবাসীদের পরিবারের উপর সামাজিক ভাবে যে অন্যায় করা হয় তারও হিসেব নেই। প্রবাসীদের পরিবারের উপর হামলা বা অত্যাচার বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নতুন কিছু নয়। এসব অন্যায় রুখে দিতে প্রয়োজন নতুন একটি আইন ও তার সঠিক প্রয়োগ। প্রবাসীদের নিরাপত্তার স্বার্থে” প্রবাসী নিরাপত্তা আইন ” প্রনয়ণ খুবই জরুরি এবং এই আইনকে দ্রুত কার্যকর করা উচিত । কারন,একজন প্রবাসী যখন হামলার স্বীকার হন তখন তিনি আইনের সহায়তা নিতে গেলে লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হয় মামলার শুনানির জন্য। যা একজন প্রবাসীর জন্য কখন ও সম্ভবপর নয়।কেননা তাদের ছুটির সময় সীমা খুবই কম। তাই “প্রবাসী নিরাপত্তা আইন” প্রণয়ন করে তার প্রয়োগের সময়সীমা দ্রুত করা উচিত মনে মনে করি।এদিকে এ আইনে প্রবাসী ও প্রবাসীদের পরিবারের আর্থ সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করি।
তাই আমি একজন প্রবাসী হিসেবে বাংলাদেশী রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করনে দেশের নীতি নির্ধারকদের নিকট ” প্রবাসী নিরাপত্তা আইন ” প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।
সিফাত নুর
সাংগঠনিক সম্পাদক
বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় সংসদ।