রাশেদুল হক রিয়াদ
আরাভ খান হত্যা মামলার আসামি জেনেও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানসহ অন্য তারকারা তার ডাকে দুবাই গেছেন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, ‘আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম একজন খুনি। সে একজন মেধাবী পুলিশ কর্মকর্তাকে খুন করেছে। মিডিয়াতেও অনেকের বলার পরও সাকিবসহ অনান্য স্টার খুনের মামলার আসামির ডাকে দুবাইয়ে গিয়েছেন এবং তার স্বর্ণের দোকান উদ্বোধনে যোগ দিয়েছেন।’
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে সংবাদকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
দুবাইয়ে হাজার কোটি টাকা মূল্যের জুয়েলারি শপ খুলে সবাইকে চমকে দিয়েছেন ৩০ বছর বয়সি আরাভ খান। দুবাইয়ের বিলাসবহুল নিউ গোল্ড সুক এলাকায় বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় জমকালো উদ্বোধন হয় আলোচিত এই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের। যেখানে উপস্থিত ছিলেন তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।
প্রতিদিনের বাংলাদেশ বুধবার তাকে নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ওই প্রতিবেদনে পুলিশ হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আপন কীভাবে আরাভ খান হলেন, কীভাবে ভারতের নাগরিকত্ব নিয়ে বিয়ে এবং দুবাইয়ে বিশাল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন, তা সবিস্তারে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরাভ খান আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়েছেন।
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আমাদের পুলিশের একজন মেধাবী কর্মকর্তা ছিলেন পরিদর্শক মামুন। তাকে শুধু হত্যাই করেনি, মরদেহ যেন না পাওয়া যায় তাই কালীগঞ্জের জঙ্গলে ফেলে দিয়েছিল। এ ঘটনার পর মামলা হয়। ডিবি তদন্ত করেছে। আসামি আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম পালিয়ে যায়। তবে নকল একজন আসামি জেলখানায় দেয় সে। পরবর্তী সময়ে ডিবির তদন্তে নকল আসামির ঘটনা সামনে আসে। এর মধ্যে মূল আসামি দুবাইয়ে স্বর্ণের দোকানের মালিক রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান ভারতে পালিয়ে যান। সেখান থেকে তিনি ভারতীয় পাসপোর্টে দুবাই যান।’
‘আমরা ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে আলাপ করে ইন্টারপোলের সহায়তায় রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব’, যোগ করেন ডিবিপ্রধান।
তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কতগুলো মামলা রয়েছে, জানতে চাইলে হারুন অর রশীদ বলেন, ’আসামির বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১২টি ওয়ারেন্ট রয়েছে। মামলা রয়েছে, চার্জশিট রয়েছে তার বিরুদ্ধে।’