ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিরুদ্ধে লাল কার্ড প্রদর্শন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদ।
রোববার (৯ এপ্রিল) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনবিরোধী এক সমাবেশ থেকে এ কার্ড প্রদর্শন করা হয়।
সমাবেশ থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, এই আইনে আটককৃতদের মুক্তি, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আসিফ মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আহনাফ সাঈদ খানের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব, সহ-সভাপতি আখতার হোসেন, তারেক রহমান প্রমুখ।
সমাবেশে বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে চার বছরে প্রায় ২ হাজার ৮শত মানুষকে বন্দী করে রাখা হয়েছে। এই আইন দিয়ে চাইলে যেকোন সময় যেকোনো ব্যক্তিকে আটক করতে পারে। এই কালাকানুনে কোথাও স্পষ্ট করে সংজ্ঞায়িত করা নাই কোন কোন কথাগুলো, বক্তব্যগুলো দেওয়া যাবে না। এ ধরনের মিথ্যা একটি আইন দিয়ে আধুনিক যুগে একটি অস্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। যে অস্ত্র দিয়ে প্রতিবাদী মানুষদেরকে প্রতিবাদী সাংবাদিকদেরকে, রাজনৈতিক ব্যক্তিদেরকে যেখানেই প্রতিবাদ করছে সেখান থেকেই আটক করছে।
ঢাবি শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে ছাত্র অধিকার পরিষদ সভাপতি বলেন, আজকে বাংলাদেশের বিবেক বিক্রি হয়ে গেছে। আমরা দেখেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রথম আলোর বিপক্ষে বক্তব্য দিচ্ছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে সাপোর্ট দিয়ে কর্মসূচি পালন করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও একই কাজ করছে। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে লজ্জিত। আপনারা এ দেশের বিবেক, এ জাতির বিবেক দোয়ায় লাগে আপনারা বিক্রি হয়ে যাবেন না।
ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদ সভাপতি আসিফ মাহমুদ বলেন, আজকের এই সমাবেশ থেকে আমরা এই কালো আইনকে লাল কার্ড দেখাচ্ছি, অতি শিগগিরই এই আইন বাতিল করতে হবে। এই আইনে আটককৃতদের মুক্তি দিতে হবে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্রলীগ কর্তৃক ছাত্র নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।