নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
সোমবার (২২ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
সমাবেশ থেকে এ ধরনের হুমকির তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি এটি গভীর ষড়যন্ত্রের একটি অংশ বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষক নেতারা।
সমাবেশে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে যে হত্যার হুমকির দেওয়া হয়েছে, সেটির নিন্দা জ্ঞাপনের ভাষা আমাদের জানা নেই। তাদের এই হুমকির বক্তব্য শুধুমাত্র জেলা পর্যায়ের একজন নেতার বক্তব্য নয়, এটি গভীর ষড়যন্ত্রের একটি অংশ। সেটির মধ্য দিয়ে তাদের নীলনকশা প্রণয়ন ও সেটির কার্যক্রম শুরু করারই একটি ইঙ্গিত। আজকের এই সমাবেশ থেকে আমি তীব্র নিন্দা জানাই। যে ব্যক্তিটি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রীকে এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ভাষায় যেভাবে হত্যার হুমকি দিয়েছে সেটি একেবারেই ক্ষমার অযোগ্য একটা বিষয়।
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রতিক, কাজেই তাকে হত্যা করে এদেশকে আবার পেছনে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা যারা করছে তাদের কোনো ক্ষমা নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আজকের এই সমাবেশ থেকে প্রত্যয় ঘোষণা করছে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যার যেকোন ষড়যন্ত্র আমরা রুখে দিব। প্রয়োজনে আমরা জীবন দিয়ে হলেও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে সুরক্ষার চেষ্টা করে যাব।
উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, যে ব্যক্তি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দিয়েছেন, এটা শুধুমাত্র তার একক কথা নয়। একটা রাজনৈতিক দলের ভাষা হলো এটি। সুতরাং এই রাজনৈতিক দলটাকে নিয়েও চিন্তা করতে হবে। যে রাজনৈতিক দলটা ক্রমাগতভাবে হত্যা-নৈরাজ্যের কথা বলছেন সে রাজনৈতিক দলটাকে নিয়েও সরকারকে ভাবতে হবে, জনগণকে ভাবতে হবে। এমন একটা দলের রাজনীতি করার সুযোগ আছে কিনা সে বিষয়টি নিয়ে ভাবার সময় এসে গেছে বলে আমি মনে করি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সামনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জন বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছে। এই ষড়যন্ত্রের পেছনে যাদের মুখ দিয়ে কথাগুলো বের হয়েছে তারাই শুধুমাত্র জড়িত তা না, তার সাথে আরো অনেকেই জড়িত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই বাংলাদেশ আজকেই এই পর্যায়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছি। অনেকেই চান না বাংলাদেশে এমন উন্নয়নের যাত্রা অব্যহত থাকুক, যার ফলে এ হুমকিগুলো আসছে। আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে এবং সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।
ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদার সঞ্চালনায় এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম অহিদুজ্জামান চান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছিত, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুস ছামাদ, ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিতেশ চব্দ্র বাছার, শিক্ষক সমিতির সদস্য অধ্যাপক ড. আবু জাফর মো. শফিউল আলম ভূঁইয়া,
সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী প্রমুখ।