Thursday, October 10, 2024
Homeমতামতবিবাহ ও দাম্পত্য জীবনে শান্তির পথ -বিলাল হোসেন মাহিনী

বিবাহ ও দাম্পত্য জীবনে শান্তির পথ -বিলাল হোসেন মাহিনী

বিবাহ ও দাম্পত্য জীবনে শান্তির পথ
বিলাল হোসেন মাহিনী

সম্প্রতি শিল্পী, গীতিকার ও জীবনমূখী অসংখ্য গানের জনক আমিরুল মোমেনীন মানিক ভারতের জীবনমূখী গানের কিং শিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী’র সাথে ‘নীল পরকীয়া’ শিরোনামে একটি গান করেছেন। বিবাহকে সহজ করা ও পরকীয়াকে অনুৎসাহিত করতে গানটির কথাগুলো সাজানো হয়েছে বলে জানা গেছে। নারী’র দৃষ্টিভঙ্গি, পরিবার ও সমাজে সামার্থবান পুরুষের একাধিক বিবাহকে খুব স্বাভাবিক ধরে নিয়ে সমাজ পরিচ্ছন্ন হবে, বাচঁবে নোংরামি থেকে।

আপনি অবাক বিষ্ময়ে তাকিয়ে দেখবেন, একজন দ্বীনদার নারী; যে আপাদমস্তক ইসলামি লেবাসি, এমনকি দ্বীনের শিক্ষক! তিনিও তার স্বামীর দ্বিতীয় বিবাহে মত দেন না। শুধু তাই নয়, সামর্থবান মুসলিম পুরুষকে একাধিক বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হতে পারে সেটা দ্বীনদার নারী এমনকি কট্টর মুসলিম পরিবারও মেনে নিতে চায় না। আর আমাদের সমাজ! এই সমাজে বিত্তবানরা স্ত্রীকে ফাঁকি দিয়ে বহুগামি হয়, হোটেল-মোটেল-রিসোর্টে বিবাহ বহির্ভূত নারীকে নিয়ে সময় কাটায়; কিন্তু পারিবারিক ও সামাজিক নিষেধাজ্ঞায় হালাল করে নিতে পারে না অন্য নারীকে। বর্তমানে একটা কঠিন সময় অতিক্রম করছি আমরা। ভেঙে যাচ্ছে পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন । একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা ও ¯েœহের মারাত্মক ঘাটতি দেখা যাচ্ছে প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থায়। আস্থার জায়গাটার বড়োই অভাব সমাজে। দেখা যায়, পেশাগত নানান ব্যস্ততায়; সামাজিক ও সাংসারিক বন্ধন আলগা হয়ে যাচ্ছে। পরস্পরের মধ্যে আস্থা, বিশ্বাস ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে ঘাটতি সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ফলে দীর্ঘ বছর ধরে তিল তিল করে গড়া ভালোবাসার সংসারও ভাঙছে।

ইসলাম ধর্ম জীবনের কথা বলে। জীবনের এমন কোনো দিক ও বিভাগ নেই, যে বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা পাওয়া যায় না। ধর্র্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে ইসলাম নারী-পুরুষের সমান অধিকার দিয়েছে, তবে মর্যাদার মানদ-ে নারী’র চেয়ে পুরুষ এগিয়ে। ইসলামি রাষ্ট্রে কোনো নারী রাষ্ট্র প্রধান বা ইমাম হতে না পারলেও পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও অর্থনীতির চালিকা শক্তি হিসেবে ইসলামে নারীর গুরুত্ব অপরিসীম। নারীরা সংসারের সবচে বড় নিয়ামক ও নেয়ামত। সতী-সধবি নারী সংসারের অলংকার। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন, ‘বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চিরকল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।’ কবিতাটি তিনি শেষ করেছিলেন এভাবে, ‘সেদিন সুদূর নয়, যেদিন ধরণী পুরুষের সাথে গাহিবে নারীরও জয়!’ কিন্তু সে ‘সুদূর নয়’ যে আসলে কত দূর, তা আজও আমাদের অজানা। আজও সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা, স্বীকৃতিহীন নারী শ্রম, পারিবারিক সহিংসতা, বিচ্ছেদ, অর্থ-সম্পত্তির ওপর নারীর নিয়ন্ত্রণহীনতার বিষয়গুলো নারীর ক্ষমতায়িত হওয়ার প্রক্রিয়াকে ক্রমাগত ব্যহত করে চলেছে।

তবে বাঙালি মুসলিমদের ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলামি অনুশাসন মেনে চলায় লেজেগোবরে অবস্থা দেখা যায়। এদেশে ‘বিসমিল্লাহ’ বলে সিনেমা শুরু হয়। সকাল বেলা পাবলিক বাসে কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে গান-বাজনা শুরু হয়। এদেশের মুসলিমগণ সালাত আদায় করে আবার সুদও খায়, ঘুষও দেয়। রোজা রাখে আবার বেপর্দায় চলে। ধর্ম মানে আবার বিড়ি-সিগারেটও খায়, ওজনে কম দেয়, ভেজাল দেয়। নামাজও পড়ে প্রতিবেশির চলার পথও বন্ধ করে; ওয়াদা খেলাপ করে, খুন-ধর্ষণসহ এহেন পাপকর্ম নেই বাঙালি মুসলিমরা করে না। বাঙালি মুসলিম সমাজে ইবাদত আছে কিন্তু ইসলামের প্রাকটিক্যাল অনুশীলন নেই। এখনে পরস্পর ফাঁকি দেয়ার প্রবণতা লক্ষনীয়। মুসলিম দ্বীনদার নারীরা ধর্মীয় সব বিধিবিধান মেনে চললেও স্বামীয় অন্য স্ত্রীকে মানতে নারাজ। অথচ ইসলাম একজন পুরুষকে চারটি বিবাহের অনুমতি দেয়। মূলত: বাঙালিরা শংকর জাতি। তাই নানা রঙ ও রূপ তাদের চরিত্রে দেখা মেলে।
সমাজ-সংসার, দাম্পত্য ও পারিবারিক জীবনে এগুলো আমাদের নিত্যদিনে সঙ্গী। আজ আমরা এই বিষয়ে নাতিদীর্ঘ আলোচনা করবো। ইন শা আল্লাহ।
বিবাহ কী : ইসলামি আইনশাস্ত্রে ‘নারী-পুরুষের শারীরিক ও আত্মিক মিলনের সামাজিক স্বীকৃতির চুক্তিকে নিকাহ বা বিবাহ বলে অভিহিত করা হয়েছে। আরবি নিকাহ শব্দের বাংলা অর্থ বিবাহ। বাংলাদেশে প্রচলিত মুসলিম বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রেশন আইন ১৯৭৪ ইং অনুযায়ী প্রতিটি বিবাহ নিবন্ধন করা আবশ্যক। উক্ত আইনে বিবাহ নিবন্ধন না করা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বিবাহযোগ্য দুইজন নারী ও পুরুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক প্রনয়নের বৈধ আইনি চুক্তি ও তার স্বীকারোক্তি। ইসলামে কনে তার নিজের ইচ্ছানুযায়ী বিয়েতে মত বা অমত দিতে পারে। একটি আনুষ্ঠানিক এবং দৃঢ় বৈবাহিক চুক্তিকে ইসলামে বিবাহ হিসেবে গণ্য করা হয়, যা বর ও কনের পারষ্পারিক অধিকার ও কর্তব্যের সীমারেখা নির্ধারণ করে। বিয়েতে অবশ্যই দুজন মুসলিম স্বাক্ষী উপস্থিত থাকতে হবে। ইসলামে বিয়ে হলো একটি সুন্নাহ বা মুহাম্মাদ (সা.)-এর আদর্শ এবং ইসলামে বিয়ে করার জন্য অত্যন্ত জোরালোভাবে তাগিদ হয়েছে।
ইসলামে সন্ন্যাসজীবনের কঠোর বিরোধিতা করা হয়েছে। ইসলামে তালাক অপছন্দনীয় হলেও এর অনুমতি আছে এবং তা স্বামীর দায়িত্বেই থাকবে, তবে স্ত্রী চাইলে স্বামীর কাছ থেকে তালাকের অধিকার চেয়ে নিতে পারে এবং নিজের এবং স্বামীর পক্ষ থেকে তা নিজের উপর প্রয়োগ করতে পারে। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, ‘তিনি তোমাদের (স্বামী-স্ত্রী) একে অন্যের সাথী হিসেবে সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা ও দয়া প্রবিষ্ট করে দিয়েছেন।’ সূরা রুম-২১। কুরআনে অন্যত্র বলা হয়েছে, ‘স্ত্রীরা হচ্ছে তোমাদের জন্য পোশাকস্বরূপ আর তোমরাও তাদের জন্য পোশাকস্বরূপ।’ সূরা বাকারাহ-১৮৭।
এছাড়াও আরেকটি হাদীসে এসেছে যে, মুহাম্মাদ সা. বলেছেন, হযরত আবু হুরাইরা সূত্রে বর্ণিত, ‘যদি বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসা কোন মুসলিম যুবকের দ্বীন এবং ব্যবহার (চরিত্র) তোমাকে সন্তুষ্ট করে তাহলে তোমার অধীনস্থ নারীর সাথে তার বিয়ে দাও। এর অনথ্যায় হলে পৃথিবীতে ফিতনা ও দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়বে।” (আল-তিরমিযি, মুসলিম)
পাত্র-পাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে পারস্পারিক সমতা (কুফু) : কাফাহ বা কুফু (আরবি: الكفاءة‎‎; আল-কাফ’আ) হল ইসলামে বিয়ের ব্যাপারে ইসলামী আইনশাস্ত্রের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত একটি শব্দ, যার আরবি ভাষায় আক্ষরিক অর্থ, সমতা বা সমতা। স্বামী-স্ত্রী’র মধ্যে এই সামঞ্জস্য ধর্ম, সামাজিক মর্যাদা, নৈতিকতা, ধার্মিকতা, সম্পদ, বংশ বা রীতিনীতির অন্তর্ভূক্ত একাধিক কারণের উপর নির্ভরশীল।
স্বামীর ওপর স্ত্রীর হকসমূহ : স্ত্রীর সাথে সর্বদা ভালো আচরণ করা। স্ত্রীর কোনো কথায় বা কাজে কষ্ট পেলে ধৈর্য ধারণ করা। উচ্ছৃঙ্খল, বেপর্দা চলাফেরা করতে থাকলে ন¤্র ভাষায় তাকে বোঝানো। সামান্য বিষয় নিয়ে স্ত্রীর সাথে ঝগড়া-বিবাদ না করা। কথায় কথায় ধমক না দেয়া। রাগ না করা। স্ত্রীর আত্মমর্যাদায় আঘাত করে এমন বিষয়ে সংযত থাকা। শুধু শুধু স্ত্রীর প্রতি কুধারণা না করা। স্ত্রীর সম্পর্কে উদাসীন না থাকা। সামর্থানুযায়ী স্ত্রীর আহার-পেশাক দেয়া। অপচয় না করা। নামাজ পড়া এবং দ্বীনের আহকাম মেনে চলার জন্য উৎসাহ দিতে থাকা। শরীয়ত পরিপন্থী কাজ থেকে বিরত রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করা। একান্ত নিরুপায় না হলে তালাক না দেয়া।
স্ত্রী’র ওপর স্বামীর হকসমূহ : সর্বদা স্বামীর মন জয় করার চেষ্টা করা। স্বামীর সাথে অসংযত আচরণ না করা। স্বামীকে কষ্ট না দেয়া। শরীয়তসম্মত প্রত্যেক কাজে স্বামীর আনুগত্য করা। গুনাহ এবং শরীয়তবিরোধী কাজে অপারগতা তুলে ধরা এবং স্বামীকে নরম ভাষায় বোঝানো। প্রয়োজনাতিরিক্ত ভরণ-পোষণ দাবি না করা। পরপুরুষের সাথে কোনো ধরনের সম্পর্ক না রাখা। স্বামীর অনুমতি ছাড়া কাউকে ঘরে ঢোকার অনুমতি না দেয়া। অনুমতি ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়া। স্বামীর সম্পদ হেফাযত করা। শ্বশুর-শাশুড়িকে সম্মানের পাত্র মনে করা। তাদেরকে ভক্তি-শ্রদ্ধা করা। ঝগড়া-বিবাদ কিংবা অন্য কোনো উপায়ে তাদের মনে কষ্ট না দেয়া।
বিবাহ করার উদ্দেশ্য তালাক দেওয়া নয় :
বিবাহের মাধ্যমে যে দাম্পত্য সম্পর্কের সূচনা হয় তা অটুট থাকা এবং আজীবন স্থায়ীত্ব লাভ করা ইসলামে কাম্য। সুতরাং স্বামী কখনও বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করার চেষ্টা করবে না এবং বিবাহ-বিচ্ছেদের পরিস্থিতিও সৃষ্টি করবে না। কেননা বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হলে এর কুপ্রভাব শুধু স্বামী-স্ত্রীর উপর সীমাবদ্ধ থাকে না; বরং গোটা পরিবারটিই তছনছ হয়ে যায়, সন্তান-সন্ততির জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সুতরাং আবেগের বশিভূত হয়ে নয়; বরং বুঝে-শুনে, চিন্তা-ফিকির করে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
তালাক (ডিভোর্স) কোনো ভালো সমাধান নয় :
সমঝোতা সবখানে দরকার। সমাজ, সংসার, রাষ্ট্র সবখানে। সমঝোতা শান্তি আনে। সমঝোতা মানেই পরিস্থিতিকে মানিয়ে নেয়া। স্বাবলম্বী নারী অনেক ক্ষেত্রে স্বামীর অন্যায় আচরণ মেনে নিতে না পেরে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাবেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ হচ্ছে। গবেষণায় দেখা গেছে বিয়ের পর একটা দম্পত্তির মধ্যে প্রেম ও ভালোবাসার তীব্রতা থাকে ৪/৫ বছর। এরপর দু’জনের মধ্যে মায়ার বাঁধন তৈরি হয়। মায়ার বাঁধন তথা সন্তান-সন্তুতি সংসারটিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। বর্তমান সময়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মায়ার বাঁধন নাই। কেউ কাউকে মায়ায় জড়াতে চায় না। একজনের অন্যজনকে ভালো লাগছে না ব্যস হঠাৎ করেই নেয়া হলো বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত। পরবর্তী সময়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেকেই আবার অনুশোচনায় ভোগে।
সংসার তো আসলে একটি ঘরের মধ্যে দু’জন বিপরীত মুখী মানসিকতার মানুষের আবাসস্থল নয়। সংসার মানে হলোÑ স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাসের মধুরতম জায়গা। এখানে মায়া ও মমতা দরকার। দু’জনের মধ্যে কমিউনিকেশন গ্যাপ থাকলে সংসার কখনই সুখের হয় না। এক্ষেত্রে বিচ্ছেদই ভালো। তবে একটা কথা মনে রাখা দরকারÑ বিচ্ছেদ কখনই কাম্য নয়। বিচ্ছেদ মানুষকে সংকীর্ন করে। সংকীর্ন মনের মানুষ কখনই সমাজে আলো ছড়ায় না।
শেষকথা :
আমাদের বিশুদ্ধ শরয়ী জ্ঞান-স্বল্পতা, বিশুদ্ধ শরীয়তের উপর আমল করার প্রতি অবহেলা ও অবজ্ঞা, স্বার্থান্বেষিতা এবং দেশীয় পরিবেশের বিশেষ কুপ্রভাবের ফলে মুসলিম সমাজে বিভিন্ন কুসংস্কার, কুপ্রথা, কুআচার ও অনাচারের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। পরকালের প্রতি ক্ষীণ ঈমান তথা অসৎ পরিবেশ ও পারিপার্শি¦কতার কারণে অধিকাংশ মানুষের ইচ্ছা নেই নিজেকে কুসংস্কার-মুক্ত করার, মন নেই আত্মশুদ্ধির, চেষ্টা নেই দ্বীন শিক্ষার, ভ্রূক্ষেপ নেই ধর্মীয় বাণীর প্রতি, নেই সমাজকে কুপ্রথা ও অনাচারমুক্ত করার কোন সৎসাহস!
সুখী দাম্পত্য গঠন যেহেতু একা কারো একার কাজ নয়। প্রয়োজন যৌথ প্রচেষ্টার। ব্যাপারটাও কেবল মুখ ও কলমের নয়; বরং আমল তথা কাজের। তাই আমূল সংস্কার ও পরিবর্তন সাধনের জন্য চাই আবাল-বৃদ্ধ-বনিতার সম্মিলিত ঐকান্তিক প্রচেষ্টা; যার শীর্ষে থাকবে আল্লাহ-ভীতি, পরকালের প্রতি পূর্ণ ঈমান, হিসাব-নিকাস ও জবাবদিহির ভয়, দোযখের শঙ্কা এবং বেহেশ্তের আশা।

বিলাল হোসেন মাহিনী
পরীক্ষক : ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা ও প্রভাষক : গাজীপুর রউফিয়া কামিল মাদরাসা, যশোর।

 

RELATED ARTICLES

Most Popular