আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রতিষ্ঠায় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়েছে। চলতি বছরের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময় করা একটি সমঝোতার ভিত্তিতে সোমবার এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
সোমবার (১২ জুলাই) ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস (আইসিসিআর) মিলনায়তনে আইসিসিআর এর মহাপরিচালক দীনেশ কে পাটনায়েক এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক পি সি যোশি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের হাই কমিশনার মোহাম্মদ ইমরান ও আইসিসিআর এর প্রেসিডেন্ট বিনয় সহস্র বুদ্ধি এবং আইসিসিআর ও বাংলাদেশ হাই কমিশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ। আর বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও বাংলাদেশ ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সম্মানে এই চেয়ার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য হচ্ছে ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশি দেশ বাংলাদেশের উন্নয়নকে আরো ভালভাবে জানা এবং এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধন ভাগ করে নেওয়ার মধ্য দিয়ে শিক্ষা, শিল্প ও সাংস্কৃতিক বিনিময় শক্তিশালী করা। আগামী ৫ শিক্ষা বর্ষের জন্য এই সমঝোতা চুক্তি কার্যকর থাকবে।
বাংলাদেশ দূতাবাসের হাই কমিশনার মোহাম্মদ ইমরান বলেন, বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রতিষ্ঠা একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ। আমি বিশ্বাস করি, বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা এবং দুই দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিংশ শতাব্দীর এক অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে বিশ্বে নন্দিত নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন। ফিদেল কাস্ত্রো যাকে হিমালয়ের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।
আইসিসিআর এর মহাপরিচালক দীনেশ কে পাটনায়েক বলেন, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ প্রতিষ্ঠা করতে পেরে আমরা অনেক আনন্দিত। বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবের অবদান বাংলাদেশর ইতিহাসে সবচেয়ে স্মরণীয় ঘটনা বলে আমি মনে করি।