নবদূত রিপোর্ট:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাওনা টাকা চাওয়ায় ঝালমুড়ি ওয়ালাকে পিটানোর অভিযোগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এক নেতার বিরুদ্ধে।
সে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহাম্মদ মহসিন হলেের আবাসিক শিক্ষার্থী এবং ঢাবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের অনুসারী এবং ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী টিএসসি, কলাভাবন, সামাজিক বিজ্ঞান ভাবন এরিয়ায় ঝালমুড়ি বিক্রি করেন। সকলের কাছে তিনি ‘ভান্ডারি মামা’ নামে পরিচিত।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা একজন ফেসবুকে লিখেন রবিউল ইসলাম রবি নামক ছাত্রলীগের ওই নেতা টিএসসির জনতা ব্যাংক শাখার সামনে একজন ঝালমুড়িওয়ালার শার্টের কলার ধরে মারধরের উপক্রম করছেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত আশেপাশের বেশ কয়েকজন এ সময় ওই ছাত্রলীগ নেতাকে নিবৃত্ত করতে এগিয়ে গিয়ে তার পরিচয় জানতে চান। তিনি নিজের নাম না বলে নিজেকে ছাত্রলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট পরিচয় দিয়ে বলেন, এটা অন্যদের দেখার বিষয় না।
ওই ঝালমুড়িওয়ালা এ সময় দাবি করেন, রবিউল ইসলাম রবি নামে ছাত্রলীগের এই নেতা পূর্বেও বিভিন্ন সময় তার কাছ থেকে ঝালমুড়ি কিনে টাকা দেন নি। টাকা চাওয়ায় সে আমাকে মারধর করেছে। আমার আর কোন অপরাধ নেই।
বাকবিতণ্ডার এ সময় রবিউল ইসলাম আবার উত্তেজিত হয়ে যান। আগের পাওনা টাকার প্রসঙ্গ তুলে কেন তাকে দোষ দেয়া হচ্ছে এ কথা বলে তিনি ওই ঝালমুড়িওয়ালাকে মারধর শুরু করেন। এ সময় আশপাশ থেকে উৎসুক আরও কিছু মানুষ এগিয়ে এলে রবিউল ইসলাম তাকে মারধর করা বন্ধ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা কেন মারধর করেছেন জিজ্ঞেস করলে রবিউল ইসলাম বলেন, ঝালমুড়ি কিনতে চাইলে ওই ঝালমুড়িওয়ালা তার সাথে বেয়াদবি করেছেন, তাই রাগান্বিত হয়ে তিনি এ কাজ করেছেন।
টিএসসি এলাকায় ভ্রাম্যমান দোকান বসিয়ে টাকা আদায় করার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন হলের ক্যান্টিন ও ভ্রাম্যমাণ দোকানে ফ্রী তে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি শুনেছি। আমার কাছে ফরমাল কোন অভিযোগ আসে নি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযুক্ত রবিউল ইসলাম রবি সাংবাদিকদের বলেন, ঝালমুড়ি কিনতে চাইলে ওই ঝালমুড়িওয়ালা তার সাথে বেয়াদবি করেছেন, তাই রাগান্বিত হয এ কাজ করেছি
অভিযোগের বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, এরকম একটি বিষয়ে আমরা শুনেছি। এরকম কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে বিষয়টি দুঃখজনক৷ ছাত্রলীগে এদের কোন স্থান নেই।
সাংগাঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে সাদ্দাম বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।