গত ২৮ জুলাই থেকে শুরু হয়ে তুরস্কের ৪৭টি প্রদেশের ২৪০ জায়গায় ছড়িয়ে পড়া দাবানল প্রায় নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের প্রচেষ্টার মধ্যেই আশির্বাদ হিসেবে দেখা দিয়েছে বৃষ্টি। তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ এসব তথ্য জানিয়েছে।
দাবানলের সূত্রপাতের ১২তম দিনে আজ সোমবার পর্যন্ত দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমের প্রদেশ মুওলা’র মাত্র পাঁচটি জায়গার আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
গত ২৮ জুলাই তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে প্রথম আগুনের খবর পাওয়া যায়। পরে দ্রুতই দেশের বিভিন্ন জায়গায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দাবানলের কারণে অবকাশযাপনের জন্য জনপ্রিয় মুওলা প্রদেশের শহরাঞ্চলের মানুষজনকে ঘরবাড়ি ছাড়তে হচ্ছে। সেখানে আগুনে আটকেপড়াদের সহযোগিতা করতে গিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মুওলা’র পাশের প্রদেশ আনতালিয়া’র মানাভাত শহরে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে।
তুরস্কজুড়ে আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ হাজারের বেশি কর্মী নিযুক্ত রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে কাজ করছে ১৫টি পানিবাহী উড়োজাহাজ।
ইবরাদি প্রদেশের ওরমানা এবং মানাভাত প্রদেশের কালেমলের বিভিন্ন এলাকায় টানা ২০ মিনিটের বৃষ্টির ফলে আগুন নেভানোর কার্যক্রম সহজ হয়ে যায়। মানাভাতের বেশকিছু এলাকায় বৃষ্টির পর মানুষজন সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতাস্বরূপ সড়কে নামাজ আদায় করেন।
এ ছাড়া তুরস্কের মধ্যবর্তী প্রদেশ ইসপারতার সুতসুলের জেলায়ও বৃষ্টির কারণে দাবানলের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।
ডেইলি সাবাহ জানায়, আগুনের সূত্রপাতের কারণ খতিয়ে দেখতে কাজ করছে তুরস্ক সরকার। আনাতালিয়া প্রদেশের মানাভাত এলাকায় একটি বনে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগে সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী পিকেকে’কে সন্দেহ করা হচ্ছে।