করোনাকালীন ক্ষতিগ্রস্থতায় চাকুরিতে প্রবেশের বয়সসীমা সকলের জন্য স্থায়ীভাবে ৩২ চাই এবং বৈষম্যমূলক ব্যাকডেট প্রত্যাখ্যান করে শুক্রবার দুপুর ৩ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে “চাকুরি প্রত্যাশী যুব প্রজন্ম।”
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চাকুরি প্রত্যাশী যুব প্রজন্মের সমন্বয়ক মানিক রিপন, ওমর ফারুক, মার্জিয়া মুন, তানভির আহমেদ ও আব্দুল্লাহ আল নোমান।
তাদের দাবি করোনায় শিক্ষার্থীদের জীবন হতে প্রায় ২ বছর অতিবাহিত হতে চলেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুয়ায়ী করোনাকালে চাকুরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরিমাণ ৮৭% থেকে ১৩% এ উপনীত হয়েছে। প্রায় দেড় লাখ পরীক্ষার্থী চাকুরিতে প্রবেশের বয়সসীমা হারিয়েছে এই করোনাকালীন সময়ে। করোনার শুরুতে যাদের বয়স ২৮ ছিলো তারা এখন ৩০ এর কাছাকাছি, তারা চাকুরিতে আবেদনের যোগ্যতা হারাতে চলেছে বয়সসীমা অতিক্রম হওয়ায়। যাদের বয়স ২৭,২৮, ২৯ বছর তারাও দুটি বছর হারাতে চলেছে। যারা স্নাতক ও স্নাতোকোত্তর পর্যায়ের চুড়ান্ত বর্ষে ছিলো তারা শিক্ষাজীবন শেষ করতে পারেনি করোনার ভয়াল থাবায়। সকল শিক্ষার্থী তাদের জীবন থেকে ২ বছর হারাতে চলেছে। তাই সবকিছু বিবেচনা করে চাকুরিতে প্রবেশের বয়সসীমা সকলের জন্য স্থানীভাবে ৩২ চাই, দাবিটি তারা জানিয়ে আসছে।
কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ব্যাকডেট নামক পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে চায়, যেখানে চাকুরি প্রত্যাশীদের ২১ মাস বয়স ছাড়ের কথা বলা হয়েছে। যাদের বয়স ২০২০ সালের ২৫ মার্চে ৩০ বছর পূর্ণ হয়েছে তারা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকুরিতে আবেদনের সুযোগ পাবে। এই ব্যাকডেট এ শুধু ৩০+ বয়সীরাই সুবিধা পাবে, কিন্তু করোনাকালীন সময়ে সকল বয়সের শিক্ষার্থীরাই বয়স হারিয়েছে, করোনার শুরুতে যাদের বয়স ২৮+ ছিলো তারা এখন ৩০ ছুঁই ছুঁই, আদতে সকল শিক্ষার্থীরা ব্যাকডেট এ উপকৃত হচ্ছে না। তাই ব্যাকডেটকে তারা প্রত্যাখ্যান করেছে এবং চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা সকলের জন্য স্থায়ীভাবে ৩২ করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানিয়ে আসছে।
ইতোমধ্যে তারা মাননীয় রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীসহ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়সহ সরকারদলীয় মন্ত্রীদেরকে এ ব্যাপারে স্মারকলিপি প্রদান করেছে।