দীর্ঘ ২০ বছর পর আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তালেবান বাহিনী। দেশটিতে শত্রুতার দিন শেষ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন তারা।
তবে এর মধ্যেই তালেবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে আফগানিস্তানের উত্তরে বসাবসরত বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর যোদ্ধারা। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।
নর্দার্ন অ্যালায়েন্স নামক এই জোট এর আগে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে তালেবানদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল। আপাতত এই জোটকে ফের সংঘবদ্ধ করছেন আফগান যোদ্ধা আহমেদ শাহ মাসুদের ছেলে।
সেই জোটের সঙ্গে রয়েছেন আলি রাশিদ দোস্তুম। তিনি একজন উজবেক যোদ্ধা। এর আগে তিনি আফগানিস্তানের উপরাষ্ট্রপতি থেকেছেন দীর্ঘদিন। এই জোটেই যোগ দিয়েছেন সদ্য সাবেক হওয়া উপরাষ্ট্রপতি আমরুল্লাহ সালেহও।
এক সময় মাসুদের অধীনেই প্রথমে সোভিয়েত পরে তালেবানের বিরুদ্ধে লড়াই করার অভিজ্ঞতা রয়েছে সালেহের।
হিন্দুস্তান টাইমস আরও জানায়, ইতিমধ্যে আফগানিস্তানের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি আমরুল্লাহ সালেহ জানিয়েছেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের দায়িত্ব আপাতত তিনি সামলাবেন। তিনি বর্তমানে পঞ্জশিরে রয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
সেখানে বিভিন্ন জনজাতির যোদ্ধাগোষ্ঠীর সঙ্গে মিলে ফের তালেবানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ছক কষছেন সালেহ!
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে আফগান গৃহযুদ্ধ হয়। সেই সময় কখনোই হিন্দুকুশের মাঝে থাকা এই পঞ্জশির প্রদেশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেনি তালেবান। এবারও পঞ্জশিরে এখনও পা রাখতে পারেনি তালেবান।
পঞ্জশিরের ভৌগোলিক অবস্থানের জন্য এটিকে দুর্গে পরিণত করে। পার্বত্য এই এলাকা খলে অসমর্থ হয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নও। এরই মাঝে এই দুর্গে উত্তরের যোদ্ধাদের এই জোটের পতাকা উড়িয়ে তালেবানকে স্পষ্ট বার্তা পাঠানো হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে টুইটারে সালেহ লেখেন, ‘আফগানিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী দেশের রাষ্ট্রপতি মারা গেলে বা ইস্তফা দিলে, পালিয়ে গেলে, অথবা তার অনুপস্থিতিতে উপরাষ্ট্রপতি কেয়ারটেকার প্রেসিডেন্ট হন। আমি এখন দেশের ভেতরেই আছি আর আমি আইনত কেয়ারটেকার প্রেসিডেন্ট। সব নেতাদের সমর্থন আর সম্মতি পেতে আমি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।