সারা দেশে ছাত্র,যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা, হয়রানি ও হুমকির প্রতিবাদ জানিয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও বাংলাদেশ ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক নুরুল হক নুর।
শুক্রুবার (২৭ আগস্ট) রাতে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানান নুর।
বিজ্ঞপ্তিতে নুর বলেন, আজ কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় জুম্মার নামাজের পর ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের মহামারী নিয়ে জনসচেতনতামূলক লিফলেট ও মাস্ক বিতরণ এবং বৃক্ষরোপন কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুর্বৃত্তরা হামলা করে মাস্ক, লিফলেট, ব্যানার ও ফেস্টুন কেড়ে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলে এবং তাদের মোবাইল, মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। হামলায় ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের বেশ কয়েকজন আহত হয়। একই দিনে বিকেলে বান্দরবান জেলা ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা বিনিময় প্রোগ্রামেও ছাত্রলীগ এবং পুলিশ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি এবং হুমকি প্রদান করে।
নুর আরও বলেন, গত ১৮ আগস্ট মোদি বিরোধী আন্দোলনে গ্রেফতারকৃত কারাবন্দী ছাত্রনেতা আব্দুর রউফের মুক্তির পর তাকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে ফেরার পথেও মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার সমেতপুর-বৈন্যাঘাট এলাকায় ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের উপর ছাত্রলীগ হামলা করে ১৫ জনকে আহত ও দুটি গাড়ি ভাংচুর করে এবং নেতা-কর্মীদের মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ, যুবলীগের দুর্বৃত্তদের অব্যাহত হামলা, হুমকি ও প্রশাসনিক হয়রানির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
জনগণের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, সরকারি দলের দুর্বৃত্তদের দ্বারা শুধু ভিন্নমত ও বিরোধী নেতা-কর্মীরাই হয়রানি, হুমকি ও আক্রমণের শিকার হচ্ছে তেমনটা নয়, আক্রান্ত হচ্ছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও, যা অত্যন্ত আশংকাজনক। দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ স্থিতিশীল রাখতে এবং রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন বন্ধে ছাত্রলীগ, যুবলীগের দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে ছাত্রলীগ, যুবলীগের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর প্রতিও আহ্বান জানাই। একই সাথে সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিংয়ের মতো জনগণের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিতে সরকার ও আইনশৃংখলাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাই।