মালয়েশিয়ার ভয়াবহ তীব্র বন্যায় দেশটির বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় অচল হয়ে পড়েছে জনজীবন। কিছু কিছু জায়গায় সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে সড়কের দুই পাশ। রাজধানী কুয়ালালামপুরসহ এর আশপাশের বেশ কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে জনগণের স্বাভাবিক চলাফেরা ব্যাহত হচ্ছে।
মালয়েশিয়ায় তীব্র বন্যায় নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয়েছে ২১ হাজারের বেশি মানুষকে। মৌসুমি বৃষ্টিপাতে মালয়েশিয়ার আট প্রদেশে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার খবরে এ কথা জানানো হয়।
মালয়েশিয়ার কর্মকর্তা ও স্বেচ্ছাসেবীরা জানিয়েছেন, আট প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়া অন্তত ২১ হাজার মানুষকে সরিয়ে ত্রাণ কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।
বন্যায় আটকেপড়া মানুষকে সহায়তা দিতে ৬৬ হাজারের বেশি পুলিশ, সেনা এবং ফায়ার সার্ভিস কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
বন্যাকবলিত সেলাঙ্গর প্রদেশে উদ্ধার তৎপরতা পরিদর্শন করেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব। তিনি জানান, গত কয়েক দিনে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, তা স্বাভাবিক সময়ে এক মাসের মোট বৃষ্টিপাতের সমান।
ভয়াবহ এ বন্যায় তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, ব্রিজ কালভার্ট। অকেজো হয়ে পড়েছে উড়াল সেতুগুলোও। এমন পরিস্থিতিতে প্রায় দুই কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ ত্রাণ সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার।
তবে এই ভয়াবহ বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমিকেরা। বন্যার কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকার কারণে অনেকেই তার নিজস্ব কর্মস্থলে ফিরে কাজ করতে পারছেন না এবং অনেক মানুষ যেখানে কাজ করতেন বন্যাকবলিত হওয়ার কারণে সেই জায়গার কাজগুলো বন্ধ অবস্থা আছে। মালয়েশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার কারণে প্রবাসীরা যেখানে বসবাস করত সেই ঘরগুলোতে পানি ওঠার কারণে প্রবাসীরা বহু কষ্টে জীবন যাপন করছেন। অনেক প্রবাসী বাংলাদেশীরা এখন খাদ্য এবং অর্থসংকটে জীবনযাপন করছেন।
এদিকে অসহায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া জন্য আকুল আবেদন জানাচ্ছেন বন্যায় আক্রান্ত প্রবাসীরা।