কাজী শামীম আহসান (সোহেল)
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে নিখোঁজ হিসেবে জাতিসংঘের তালিকাভুক্ত প্রায় ৮ থেকে ৯ জনের খোঁজ পাওয়া গেছে। গতকাল ৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
এ সময় পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আমরা শুনেছি যে বাংলাদেশ থেকে নিখোঁজ হিসেবে জাতিসংঘের তালিকাভুক্ত ৭৬ জনের মধ্যে ৮ থেকে ৯ জনকে পাওয়া গেছে। দেশে বা দেশের বাইরে তালিকার আরও বেশ কয়েকজনকে পাওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে।’
পররাষ্ট্র সচিব এমন এক সময় এ তথ্য জানালেন, যখন সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স সংক্রান্ত জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপ ৫ দিনের বৈঠক করছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ বৈঠক আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। ওয়ার্কিং গ্রুপটি বিশ্বের ২৪টি দেশ থেকে ৩০০ জনেরও বেশি লোকের নিখোঁজের ঘটনা খতিয়ে দেখছে।
গত বছর এই ওয়ার্কিং গ্রুপ ৭৬ জন বাংলাদেশির তালিকা উল্লেখ করে জানিয়েছিল যে তারা নিখোঁজ আছেন। সম্প্রতি তাদের কয়েকজনের খোঁজ পাওয়ার কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রসচিব মোমেন বলেন, ‘আমরা তাদের খোঁজ পাওয়ার বিষয়টি ইউএন ওয়ার্কিং গ্রুপকে জানিয়েছি।’
‘সরকার নিখোঁজদের বিষয়ে কাজ করছে এবং তাদের খুঁজে বের করবে। সরকার তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং নিখোঁজ হওয়ার সূত্র বের করছে,’ যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সংগঠনগুলোকে জানাবো যেন তারা (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যায় এমন) ভিত্তিহীন প্রচারণা বা আপত্তিকর সুপারিশ করতে না পারে।’
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্সের বিষয়ে বাংলাদেশের ওপর কোনো চাপ নেই।’তবে এর আগে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং গুমের জন্য র্যাব ও এর ৭ সাবেক-বর্তমান শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গত বছর ডিসেম্বরে নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগের বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় আছে বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব মোমেন।
গুম হওয়া পরিবারের সদস্যদের উচিত সবাই একত্রিত হয়ে আদালতের মাধ্যমে সেই ৭/৮ জনের নাম, বর্তমান অবস্হান জানতে চাওয়া এবং তাদেরকে জীবিত আছে বললে ফেরত চাওয়া।
সরকারের উচিত গুম হওয়া মানুষ গুলোর বেশিরভাগ জীবিত এবং তাদের কাছে আছে, এই সংক্রান্ত সংকট বাড়ার আগেই তাদেরকে ছেড়ে দেয়া এবং ভবিষ্যতে আর কাউকে গুম না করা।