Saturday, September 21, 2024
Homeজাতীয়ন্যায়বিচারের জন্য প্রধানবিচারপতির দ্বারে ডা.জাফরুল্লাহ

ন্যায়বিচারের জন্য প্রধানবিচারপতির দ্বারে ডা.জাফরুল্লাহ

বিশেষ প্রতিনিধি ;

মোদি বিরোধী আন্দোলনে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলায় গ্রেফতারকৃত ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরী। আজ সোমবার ৩১ মে সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবরের সঙ্গে সাক্ষাত করে তিনি এ দাবি জানান।

মোদি বিরোধী আন্দোলনে গ্রেফতার ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের ৫৪ নেতা-কর্মীর মুক্তির দাবিতে শাহাবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও নাগরিকবৃন্দের সমাবেশের পর বেলা ১ টার দিকে শাহাবাগ হতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে মেজর জেনারেল অব: সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, জোনায়েদ সাকি,ছাত্র- যুব-শ্রমিক অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর, মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত,লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক
আতাউল্লাহ, ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রাশেদ খানসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মীর মিছিলসহ বেলা ১ টার দিকে হাইকোর্ট অভিমুখে রওনা হন।

মিছিলটি হাই কোর্টের মাজার গেটে আসলে পুলিশ কিছুক্ষণ গেইট বন্ধ করে রাখেন। এসময় ডা. জাফরুল্লাহ
চৌধুরী বলেন,’ যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদেরকে প্রধান বিচারপতির অফিসে যেতে না দেন ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা এখানে অবস্থান করবো।’গেইটে ঘন্টাখানেক অবস্থান করার পর বেলা সোয়া দুইটার দিকে ডা.জাফরুল্লাহসহ ৭ জন প্রতিনিধি দল প্রধানবিচারপতি না থাকায় সুপ্রিম কোর্টের রেজিষ্ট্রার জেনারেলের সাথে দেখা করেন।

এসময় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, গত ৪ মে বাংলাদেশের সংবিধান রচিয়তা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে প্রধান বিচারপতি বরাবর আমরা দেশের ১৮ জন বিশিষ্ট নাগরিক ৫৪ ছাত্রের মুক্তির দাবিতে একটি স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। অধ্যবদি তার কোন সমাধান হয়নি, বরং তাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা হয়েছে,নির্যাতন হয়েছে।কোর্ট তাদের মামলার কাগজ পত্র দিতে গড়িমসি করে সময় বিলম্ব করছে,জামিন পাওয়া সাংবিধানিক অধিকার হলেও জামিন দেওয়া হচ্ছে না।আমরা এর প্রতিকার চাইতে প্রধানবিচারপতির কাছে এসেছি।

প্রধানবিচারপতি নাই, তাই তার প্রতিনিধি রেজিষ্ট্রার জেনারেলের কাছে কথাগুলে বলে গেলাম। আজকে এসেও যদি কাজ না হয়, তাহলে এটাও জানিয়ে দিতে চাই, আমরা ওনার (প্রধান বিচাপতি) বাসভবনে যাব। ঘেরাও করে বসে
থাকবো, যতক্ষণ না উনি আমাদের কথা না শুনেন।জনগণের কথা উনাকে শুনতে হবে।

আমরা বিচারে হস্তক্ষেপ করতে আসিনি,ন্যায়বিচারের জন্য আসছি।এসময় গেটে তালা লাগানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেও তিনি বলেন,এটা তারা ভুল করছেন, হাইকোর্টের
দরজা কখনো বন্ধ হতে পারে না। জনগণের বিচারের জায়গা এটি, ২৪ ঘন্টা খোলা থাকবে।

উল্লেখ্য, গত ৪ মে মোদি বিরোধী আন্দোলনে গ্রেফতার ছাত্রদের ঈদের আগে জামিনে
মুক্তির দাবিতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বরাবর চিঠি দেন দেশের ১৮
বিশিষ্ট নাগরিক। তারা হলেন- গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, অধ্যাপক
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা.
জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক
উপদেষ্টা হাফিজ উদ্দিন খান, আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক
মাহমুদুর রহমান মান্না, অধ্যাপক পারভীন হাসান, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী,
সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, নারী নেত্রী শিরিন হক, লেখক-নৃবিজ্ঞানী
রেহনুমা আহমেদ, অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া, অধ্যাপক আসিফ নজরুল,
মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, মুক্তিযোদ্ধা ইসতিয়াক আজিজ উলফাত,
মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু এবং গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান
সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।

RELATED ARTICLES

Most Popular