Saturday, September 21, 2024
Homeজাতীয়সংকট নিরসনে দুই বছরের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দাবি ভিপি নুরের

সংকট নিরসনে দুই বছরের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দাবি ভিপি নুরের

দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে রাজনৈতিক দলের ঐক্যমতে দুই বছরের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এর সাবেক ভিপি ও ছাত্র,যুব, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক নুরুল হক নুর।

বাংলাদেশ লেবার পার্টি কর্তৃক আয়োজিত ‘রাজনৈতিক সংকট;উত্তরণ কোন পথে’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় আজ শনিবার (২৯ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া অডিটোরিয়ামে এ দাবি জানান নুরুলহক।

তিনি বলেন,বর্তমান বাস্তবতায় একটা দলকে সরিয়ে আরেকটা দলকে ক্ষমতায় বসালেই জনগণের কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন হবে না। জনগণ রাষ্ট্রের কেমন পরিবর্তন চায়,ক্ষমতায় গেলে রাজনৈতিক দলগুলো বিদ্যমান ব্যবস্থার কিভাবে পরিবর্তন করবে তার একটা রূপরেখাটা জনগণের সামনে তুলে ধরা উচিত। যার ভিত্তিতে জনগণ পরিবর্তনের জন্য ঐক্যবদ্ধ হবে। সেটা শুধু বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি দিবে এমন নয়, আমরা বিভিন্ন ছোট দলেরও যে কেউই দিতে পারি।
যেমন আমরা চাই না একই ব্যক্তি দুইবারের বেশী প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি থাকুক,বেশীদিন ক্ষমতায় থাকলে তার মধ্যে স্বৈরাচারী মনোভাব গ্রো করে । একই সাথে দলীয় প্রধান ও সরকার থাকা যাবে না। আমরা চাই বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করবে,নির্বাচন কমিশন মেরুদন্ড উঁচু করে কাজ করবে।

সেটা বিদ্যমান ব্যবস্থায় সম্ভব না, তার জন্য রাজনৈতিক দলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে দুই বছর মেয়াদে একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা যায়।
যাদের কাজ হবে রাষ্ট্রের বিদ্যমান অসঙ্গতিগুলোকে একটা সঙ্গতিপূর্ণ লাইনে নিয়ে আসা।

বিশেষ করে নির্বাচন কমিশন কি প্রক্রিয়ায় নিয়োগ পাবে। নির্বাচনের সময় তাদেরকে সর্বোচ্চ ক্ষমতা দেওয়া। নির্বাচনী কর্মকর্তারা যেন এসপি কিংবা ডিসির চোখ রাঙ্গানীতে ভয় না পায়। আদালতকে পুরোপুরি রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে। প্রশাসনসহ প্রত্যেক ক্ষেত্রে নোংরা দলীয়করণ বন্ধ করতে হবে। এছাড়া প্রয়োজনীয় আইন ও সংবিধান সংস্কার করে এই অন্তর্বর্তীকালীন একটি ‘ফ্রী- ফেয়ার ইলেকশনের দিকে যাওয়া।

দেশের এ রাজনৈতিক সংকটের জন্য রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি জনগণকেও দায়িত্ব নিতে হবে উল্লেখ করে নুর বলেন, আমাদের মানসিকতায় একটা পরিবর্তন আনা দরকার। সব কিছু রাজনৈতিক দল করবে, বিষয়টি এমন নয়। দেশের চলমান সংকট থেকে উত্তরণে দেশের নাগরিক হিসেবে আপনার-আমারও দায়িত্ব রয়েছে। দেশের আজকের এই পরিস্থিতির জন্য আমি- আপনিও দায়ী। গত বছর বেলারুশে নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে, করোনার মধ্যেও জনগণ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছে। আমাদের দেশে ২০১৪ এবং ১৮ সালে ভোট ছাড়াই দুটো নির্বাচন হয়েছে, জনগণ ভোটাধিকারের দাবিতে রাস্তায় নামেনি। তাই আমি মনে করি, এ অবস্থার জন্য আমরাও দায়ী। তাই বর্তমান রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণ এবং ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জনগণকেই মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। তার জন্য উপায় একটাই বিভিন্ন ইস্যুতে যার যার জায়গা থেকে রাস্তায় নামা, প্রতিবাদ করা। সব এক হয়ে, এক ব্যনারে এসে প্রতিবাদ করতে হবে বিষয়টি এমন নয়।
সবাই গনতন্ত্র , ভোটাধিকার, সুশাসন চান, বিনা ভোটের এই ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন চান। সুতরাং এই দাবিতেই সবাই যার জায়গা থেকে নেমে যান।

লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা: মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদসহ, পেশাজীবি নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়াসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা বক্তব্য রাখেন।

RELATED ARTICLES

Most Popular