নিজস্ব প্রতিবেদক:

মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করায় উল্টো মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালকের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তা পিরোজপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ বাবুল সরকার। যার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তৈরি করে চাকরীচ্যুত করতে মরিয়া একটি দুর্বৃত্তায়ন চক্র ও মাদক ব্যবসায়ীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত কথিত সাংবাদিক গোষ্ঠী।
পিরোজপুর জেলাকে মাদকমুক্ত জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করে যিনি মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন সেই সৎ মেধাবী, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক ডিএনসি কর্মকর্তা বাবুল সরকারের বিরুদ্ধে পিরোজপুরের কথিত সাংবাদিক নামধারী নামসর্বস্ব আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকার সাংবাদিক চক্র, মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সাথে যোগসাজস করে কম্পিউটার ও অ্যাপসের মাধ্যমে ভিডিও ও ছবি এডিটিং করে করে একজন নারীর অশালীন ছবি জোড়া লাগিয়ে বাবুল সরকারকে সামাজিকভাবে ও পেশাগতভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার পাশাপাশি চাকরিচ্যুত করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন।
পিরোজপুরের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের দ্বারা আর্থিক মদদপুষ্ট সাংবাদিক নামধারী এক চাঁদাবাজ দুর্বৃত্তরা তাকে বিগত সরকারের দোসর বলে অভিহিত করেও ফায়দা লোটার চেষ্টা করছেন।
১৯৭৯ সালের সরকারি কর্মচারী অধ্যাদেশ অনুসারে সরকারের স্ব স্ব মন্ত্রণালয় ঘোষিত এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় কাজ বলে গণ্য করা হয় ।
সেক্ষেত্রে পিরোজপুর ডিনসি সহকারী পরিচালক বাবুল সরকার তার ওপর অর্পিত পেশাগত দায়িত্বই যথাযথভাবে পালন করতে গিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের চক্ষুশুলে পরিণত হয়েছেন।
কোনরূপ আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে সাবোটেজ নিউজ এর মাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে নীল নকশা বাস্তবায়নে লিপ্ত রয়েছেন শহরের ডাকসাইটে ও কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী চক্র।
পিরোজপুরের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সুশীল সমাজের সাথে কথা বলে জানা যায়, বাবুল সরকার পিরোজপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ে যোগদান করার পরই মাদকদ্রব্য বিক্রয় ও পরিবহন অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে।
তিনি মাদকবিরোধী বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ীদেরকে সমূলে বিনাশ করার জন্য গ্রেপ্তার ও জেল জরিমানা সহ বিভিন্ন দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, যার ফলশ্রুতিতে সুবিধাবাদী গোষ্ঠী ঐক্যবদ্ধ হয়ে ক্লিন ইমেজের একজন কর্মকর্তাকে ফাঁসিয়ে দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের পথ উন্মুক্ত করার পাঁয়তারা করছেন।
উল্লেখ্য যে, পিরোজপুর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ বাবুল সরকার ইতিমধ্যে দুর্বৃত্তায়ন চক্র এবং কথিত সাংবাদিক নামধারী চাঁদাবাজ হলুদ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে তার বিরুদ্ধে মানহানি, পেশাগত হয়রানি ও চাঁদা দাবি করার অভিযোগ এনে পিরোজপুর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
এমতাবস্থায় সচেতন পিরোজপুরবাসী মনে করেন যে, কথিত হলুদ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রেস কাউন্সিল যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক পিরোজপুর কে মাদকমুক্ত জেলা হিসেবে ঘোষণা করার জন্য কাজ করবেন এবং একজন নির্দোষ কর্মকর্তাকে যারা অহেতুক হয়রানি করেছেন তাদের বিরুদ্ধেও যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।