
আপনারা জানেন যে ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অগ্নিগর্ভ থেকে জন্ম নেয়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ তার পরবর্তিতে গঠিত হয় গণঅধিকার পরিষদ আপনারা দেখেছেন যে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ থেকে জন্ম নেয়া সংগঠন বাংলাদেশ গণধিকার পরিষদ সার্বক্ষণিক রাজপথে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে গেছে। বাংলাদেশে কোনো দলকে এমন ভাবে দেখবেন না যে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যেতে। রাজপথে সময় সাময়িক ইস্যু নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যায়। এটাই একমাত্র সংগঠন যেটা বাংলাদেশের মানুষের ন্যায়নীতি ও মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচারের জন্য লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে গেছে। অদূর ভবিষ্যৎ পর্যন্ত এই আন্দোলন চলমান থাকবে কেউ থাকুক বা না থাকুক বাংলাদেশে গণধিকার পরিষদের সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা তার সাম্য মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাবে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আপনারা দেখেছেন যে ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন কোটা আন্দোলনের পরিপত্র নিয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ঘটে। এই জুলাই গন অভ্যুত্থানের মাস্টার মাইন্ড হিসাবে কাজ করেছিল গণধিকার পরিষদের সভাপতি এবং ডাকসু সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর। এই নুরুল হক নূর ভাইয়ের নেতৃত্বেই কিন্তু সর্বপ্রথম আওয়ামী লীগ কে নিষিদ্ধের দাবি নিয়ে নুরুল হক নুর নির্দেশনায় গনঅধিকার পরিষদের সকল অঙ্গ সংগঠন রাজপথে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পল্টন হতে শাহবাগের দিকে অবস্থান নিচ্ছিল এমত অবস্থায় এমতাবস্থায় তথাকথিত পুলিশ বাহিনী অতর্কিতভাবে হামলা চালায় এবং আন্দোলনকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে তারপরেও ভিপিনুরুল হক নূরের ভিপি নুরুল হক নূরের গণঅধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দরা পিছু পা হয় নাই। আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে গেছে। এবং সারা বাংলাদেশের জেলা উপজেলার নেতৃবৃন্দদেরকে নির্দেশ যে যার যার অবস্থান থেকে জোরালো ভাবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ যেন করা হয়। পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কুমিল্লায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে সংহতি জানিয়ে এই আন্দোলনে সামিল হই। এই আন্দোলনের মূল প্রেক্ষাপটে আমাদের একটাই দাবি গণদাবি আওয়ামী লীগকে অনতিবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে। তারা যে পরিমাণে গত ১৭ বছর ধরে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের উপরে নির্মম ভাবি নির্যাতন ও অন্যায় অনিয়ম ও জুলুম করেছে এবং এদেশের আমার ছাত্র জনতার উপরে যে পরিমাণে অন্যায় অত্যাচার করেছে টর্চারিং করেছে এবং গুম খুন ও ত্রাসের রাজত্বে টাইম করে চলেছিল এগুলা এগুলো কোনভাবেই বাংলাদেশের মানুষ মেনে নিতে পারেনি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে মানুষ অতিষ্ট হয়ে এক পর্যায়ে বৈষম্যের শিকার হয়েছিল মানুষ সেই বৈষম্যকে দূরীকরণের জন্য আন্দোলনের ডাক দেয়া হয় যেটা দেখেছি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে কোন অভ্যুত্থানের পূর্বে যে মূল প্রেক্ষাপটটা ছিল সেটা হচ্ছে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন তারপর পরবর্তীতে যখন নিরবিচারে ছাত্র জনতার উপর গুলি বর্ষন করে তখন সেটা রূপ নেয় অন্যদিকে এক দফা দাবি হিসেবে স্বৈরাচারের পতনের দাবি হিসাবে আর এই আন্দোলনের মূল মাস্টারমাইন্ড হিসেবে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল কিন্তু বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ যুব অধিকার পরিষদ গণধিকার পরিষদের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দরা। এবং গন অভ্যুত্থানে যখন আমার নেতা ভিপি নুরুল হক নূর ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যায় ভাবে রিমান্ডে নিয়ে টর্চারিং করা হয়। উনি সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছিলেন না। তারপরেও আদালত প্রাঙ্গণে হ্যান্ডকাফ পড়া অবস্থায় হুংকার দিয়ে বলে ৯০% স্বৈরাচারের পতন হয়ে গেছে। আর ১০% ধাক্কা দেয়ার প্রয়োজন। আপনারা কেউ মাঠ থেকে সরবেন না ৯০% পতন হয়ে গেছে আর ১০% ধাক্কা দিলেই এই স্বৈরাচারী প্রেসিস্ট সরকারের পতন হয়ে যাবে। আমরা দেখেছি তার এই হুংকারের পরবর্তীতে এ সরকার পাঁচই আগস্ট বেলা বারোটার দিকে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যায়। এই স্বৈরাচারী সরকারের এই খুনি হাসিনা সরকারের দোসোররা এই ১৭ বছর ধরে ত্রাশের রাজত্ব কায়েম করেছিল। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে অন্যায় ভাবে ছাত্রদের উপরে নির্মম নির্যাতন চালাইয়া গেছিল তারা। কেউ মুখ ফুটে কথা বলতে পারতো না। তাদের বিরুদ্ধে কেউ আঙুল তোলার সাহস করতে পারত না। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমি যখন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের একটি কলেজ ইউনিটের সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে ছিলাম। তখন এই স্বৈরাচারীর দোসর এবং খুনি হাসিনার আস্থাভাজন এমপি ছিল বাহার সাহেব উনার কমান্ডিং-এই আমার কলেজের সকল কার্যক্রম পরিচালিত হতো। কিন্তু স্রোতের বিপরীত দিক থেকে যখন আমরা রাজনীতিতে পা বাড়াই। তখন এই সাবেক এমপি আমাকে তার বাসায় ডেকে নিয়ে যায় বেশ কয়েকবার এবং রাজনীতি থেকে সরে আসার জন্য চাপ প্রয়োগ করে বারবার। একপর্যায়ে উনি বলে আমি যেই কলেজের সভাপতি সেই কলেজে তুমি কিভাবে ভিপি নূরের দল কর? তোমার এত বড় স্পর্ধা? তারপরও যখন আমি পিছুপা না হই! তখন আমাকে অফার করা হয় কুমিল্লার মহানগরের ছাত্রলীগের সভাপতি বানায় দিবে। আমি যেন নূরের দল থেকে সরে যাই। পরবর্তীতে না শোনার কারণে আমাকে ক্যাম্পাস থেকে পর্যন্ত বিতাড়িত করা হয়। এতেই ক্ষান্ত হয়নি পরবর্তীতে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিল। পরবর্তীতে নিজের জীবন রক্ষার জন্য প্রবাস গমন করতে হয় আমাকে। বেঁচে থাকলে রাজনীতি করতে পারব, এই প্রত্যাশা নিয়ে একপ্রকার বাধ্য হয়ে দেশ ত্যাগ করেছিলাম। পরবর্তীতে আবার দেশে ফিরে এসে পুনরায় সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকি এর কিছুদিন পরেই যখন শুরু হয়েছিল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে তখন শামিল হয়ে যথেষ্ট পরিমাণ চেষ্টা করি এবং সফলতাও অর্জন করেছি । আমি একটা কথা বলতে চাই বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, তথা গণধিকার পরিষদের কোনো অঙ্গ সংগঠন অন্যায়ের সাথে আপোষ করে না। তাদেরকে লোভনীয় অফার করে কোন লাভ নেই। তারা সব সময় জনগণের হয়ে কাজ করে সংগ্রাম করে। তাদের ভিতরে প্রলোভন দেখিয়ে আপনারা কেউই কোন কিছুই করতে পারবেন না। বারবারই ব্যর্থ হবেন। ছাত্র অধিকার পরিষদ অন্যায়ের সাথে আপোষ করে না, ভবিষ্যতেও করবে না। আজকের এই আন্দোলনের মাঠ থেকে একটা কথাই বলে যেতে চাই অনতিবিলম্বে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। নিষিদ্ধ করতে হবে!! নিষিদ্ধ করতে হবে!!নিষিদ্ধ করতে হবে!! আমার এই সোনার বাংলায় খুনি হাসিনার ঠাঁই নাই। কুত্তা লীগের ঠাঁই নাই। অনতিবিলম্বে এই লীগ দালালদের নিষিদ্ধ করতে হবে।