Tuesday, December 24, 2024
Homeরাজনীতিবঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে আমার দলের লোকেরা কিভাবে জড়িত ছিল: শেখ হাসিনা

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে আমার দলের লোকেরা কিভাবে জড়িত ছিল: শেখ হাসিনা

শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড নিয়ে তার মেয়ে ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার অবাক লাগে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আমাদের দলের যারা ছিল, তারা কী করে জড়িত থাকল?

প্রধানন্ত্রী বলেন, হত্যার বিচার করেছি ঠিক, তবে এই ষড়যন্ত্রের পেছনে কারা জড়িত ছিল সেটা এখনো চিহ্নিত করা হয়নি। তবে সেটা একদিন না একদিন বের হবে, এটা ঠিক। কিন্তু আমার একটাই কাজ। একটা ছিল প্রত্যেক্ষভাবে যারা হত্যা করেছিল তাদের বিচার করা আর সব থেকে বড় কাজ হলো- দেশের মানুষগুলোকে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছিলেন দেশের মানুষের উন্নয়ন করা। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা।

রোববার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কৃষক লীগ আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্ত ও প্লাজমা দান কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের নাগরিক হিসাবে আমরা ১৫ আগস্ট যারা স্বজন হারিয়েছি, আমাদের কিন্তু কোনো বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে খুনিদের বিচারের পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। খুনিদেরকে পুরস্কৃতি করা হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান খুনিদেরকে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেয়, ব্যবসা করার সুযোগ দেয় বিপুল অর্থের মালিক করে দেয়। জিয়ার পথ ধরে জেনারেল এরশাদ এই খুনিদের রাজনীতি করার সুযোগ দেয়, রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দেয়। এমনকি ভোট চুরি করে পার্লামেন্টের মেম্বার করে। তার থেকে এক ধাপ উপরে গিয়ে খালেদা জিয়া খুনি রশীদকে পার্লামেন্টে বসায় বিরোধী দলের নেতার চেয়ারে। আর এক খুনিকে পার্লামেন্টে মেম্বার করে এবং তাদেরকে পুরস্কৃত করে।

‘১৯৯৬ সালে আমরা যখন সরকারে আসি ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে খুনিদের বিচারের পথে নিয়ে এসে বিচারকাজ শুরু করি। প্রথম যেদিন বিচারের রায় হবে ৮ নভেম্বর, সেদিন খালেদা জিয়া তখন বিরোধী দলে, সেদিন হরতাল ডেকেছিল যেনো কোনোমতেই বিচারক কোর্টে যেতে না পারে, আর বিচারের রায় দিতে না পারে। কিন্তু সেই বিচারের রায় হয়েছিল’ বলেন শেখ হাসিনা।

তিনি আরও বলেন, একজন মৃত ব্যক্তিকে খালেদা জিয়া প্রমোশন দেয় এবং তাকে অবসরভাতা দিয়ে পুরস্কৃত করে। তারা ২০০১ সালে ক্ষমতা এসে খুনিদের আবার পৃষ্টপোষকতা করে। বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর পাকিস্তানের অনেকে মতামত দিয়েছিল যে এটা আমাদের জন্য বোঝা ছিল, চলে গেছে ভালোই হয়েছে, এরা তো আর কোনো দিন মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না।

RELATED ARTICLES

Most Popular