Saturday, September 21, 2024
Homeশিক্ষাঙ্গনঢাবির শতবর্ষের অনুষ্ঠান বর্জন করলেন নুর

ঢাবির শতবর্ষের অনুষ্ঠান বর্জন করলেন নুর

নবদূত রিপোর্ট:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের উদ্যোগ না নেওয়ায় এবং ডাকসু নেতৃবৃন্দকে নিমন্ত্রণ না জানানোর কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন ডাকসুর সর্বশেষ ভিপি নুরুলহক নুর।

মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দেন নূর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ ইং তারিখে দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও গৌরবের সাথে জড়িত স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এর শিক্ষার্থী-শিক্ষক,কর্মকর্তা-কর্মচারী তথা এদেশের মানুষের কাছে অত্যন্ত আনন্দের একটি সংবাদ। বাংলাদেশ সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকে এ জাতির ক্রান্তিলগ্নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতিকে পথ দেখিয়েছে। শিক্ষা,রাজনীতি, অর্থনীতি, প্রশাসন দেশের প্রতিটি পরতে পরতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনবদ্য অবদান রয়েছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে গর্ব এ দেশের সকল মানুষের।

শিক্ষার্থীদেরকে ঘিরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মূল কর্মকাণ্ড পরিচালিত হলেও শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্বকারী নির্বাচিত ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ’ (ডাকসু) নেই। যা শতবর্ষের অনুষ্ঠানে বড় একটি অপূর্ণতা। শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি নিশ্চিত না করে শতবর্ষের অনুষ্ঠান আয়োজন করা শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার বহিঃপ্রকাশ।
অধিকন্তু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ধারণ করতেও বর্তমান প্রশাসন চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। শতবর্ষের অনুষ্ঠানে সরকারি দলের বাইরে ঢাবির কৃর্তীমান সাবেক শিক্ষার্থীদের নিমন্ত্রণ না করা বিশ্বিবদ্যালয়ের প্রশাসনের সংকীর্ণ ও দলকানা মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সামরিক স্বৈরশাসন বিরোধী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ৯০-এর সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের ডাকসু নেতৃবৃন্দকে নিমন্ত্রণ না করা ইতিহাস-ঐতিহ্যের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবজ্ঞা ও অবহেলা ফুটে উঠেছে। যা অত্যন্ত হতাশাজনক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মর্যাদাহানিকর।

শতবর্ষের অনুষ্ঠানে যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্ব ছিলো শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত প্রতিনিধিসহ দলমত নির্বিশেষে দেশবরণ্যে ঢাবির কৃর্তীমান সাবেক শিক্ষার্থীদেরকে একত্রিত করা। বিশ্ববিদ্যালয় সেখানে শতবর্ষের অনুষ্ঠানকে একটি সরকার দলীয় অনুষ্ঠানে পরিণত করেছে। তাই সর্বশেষ নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি ( ভিপি ) হিসেবে আমি উক্ত অনুষ্ঠান বর্জন করছি। একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রশাসনকে দলনিরপেক্ষ চরিত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা ও দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানাই।

RELATED ARTICLES

Most Popular