Saturday, September 21, 2024
Homeশিক্ষাঙ্গনআবরারের মামলায় বুয়েটের খরচ ৫৫ লাখ টাকা: ভিসি

আবরারের মামলায় বুয়েটের খরচ ৫৫ লাখ টাকা: ভিসি

নবদূত রিপোর্ট:

বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৫৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রাসাদ মজুমদার।

মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বুয়েট নিজের কার্যালয়ে পরবর্তী মামলা পরিচালনায় বুয়েটের সহায়তা অব্যাহত থাকবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান।

উপাচার্য বলেন, আবরারের পরিবারের পক্ষ থেকে যেটুকু চাওয়া হয়েছে তা আমরা দিয়েছি। মাসিক সাহায্য করছি। প্রতিমাসে পঁচাত্তর হাজার টাকা দিচ্ছি। ওনারা আর্থিকভাবে সংকটে পড়েছেন। এজন্য আমি ভাইস-চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পাওয়ার পরে জুলাই এর ১ তারিখ থেকে প্রতিমাসে ৭৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আইনি সহাযতা ও আইনজ্ঞের যে ফি এবং স্টুডেন্টদেরকে আনা নেওয়া করা সাক্ষী হিসেবে খরচ, আনুষঙ্গিক সব খরচ, এমনকি ঢাকায় এসে থাকার খরচ সবকিছু আমরা বুয়েট থেকে বহন করেছি। প্রায় ৫৫ লাখ টাকা  এ পর্যন্ত গেছে। এর বাইরে প্রতি মাসে যেটা দেওয়া হচ্ছে সেটা ১২ বছর দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে ওনি যদি আমাদের কাছে চান এই সাপোর্ট আমরা অবশ্যই দিবো।

তিনি বলেন, আবরারের বাবা-মার প্রতি আমরা সহমর্মিতা দেখিয়েছি। তাদেরকে বুয়েটের পক্ষ থেকে যতদূরসম্ভব সাহায্য সহযোগিতা করেছি। ভবিষ্যতেও করব। আইনি ও আর্থিক সহযোগিতা করেছি।

রায়ে যাদের সর্বোচ্চ শাস্তি হয়েছে তাদের বিপথে যাওয়ার পিছনে বুয়েট কর্তৃপক্ষের দায় আছে কি না সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানের দায় আছে কি না সেটা বিচার বিভাগ দেখবে। আমরা আমাদের সিস্টেমে ফল্ট আছে কি না ভেবে দেখছি। সেজন্য আমরা সিকিউরিটি জোরদার করার জন্য ব্যবস্থা করছি। এক্সেস কন্ট্রোল করার ব্যবস্থা করছি। ছাত্রদেরকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য আমরা সব ব্যবস্থা করতেছি।

ছাত্র রাজনীতি নিয়ে তিনি বলেন, রাজনীতির যে অপরাজনীতি হবে আমরা কেউ জানি না। রাজনীতির কিছু ভালো দিক আছে। দেশের জন্য কাজ করতে রাজনীতিই করতে হবে। আমার মনে হয় ছাত্র রাজনীতি অনেকে দেশেই আছে। ছাত্ররাজনীতির কারণে দেশের প্রতি মমত্ববোধটা জেগে ওঠে। কিন্তু তাকে যদি অন্যদিকে ধাবিত করা হয় তাহলে সেটি বিচার বিভাগ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেখবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সজাগ থাকবে যেন কোন ছাত্র বিপথে না যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা নিয়ে উপাচার্য বলেন, বর্তমান প্রশাসন চাচ্ছি না এখানে ছাত্র রাজনীতি চালু হোক। ছাত্রসংসদ ছিল। এটা রাজনীতির বাইরে। ছাত্র সংসদ থাকবে। ছাত্ররা মতামত দিবে। ভবিষ্যতে রাজনীতির ইফেক্ট যেন না আসে সেজন্য আমাদের সজাগ থাকতে হবে।

শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের সময় আমি ছাত্রলীগ করতাম, অনেকে ইউনিয়ন করত। কিন্ত আমরা একে অপরের প্রতি ছাত্রসুলভ আচরণ করতাম। সেই জিনিসটা ফিরিয়ে আসে সেটা আমরা চাই। আমাদের ছাত্রদের মধ্যে যেন ভালোবাসা থাকে। মানবতাবোধ থাকে। ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের মাধ্যমে এডভাইজ করাচ্ছি। অন ক্যাম্পাস জবের ব্যব্যস্থা করতেছি। বৃত্তির ব্যবস্থা করতেছি। যেন সে আমাদের মনিটরিং এ থাকে।

RELATED ARTICLES

Most Popular