নবদূত রিপোর্টঃ
চতুর্থধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যশোরের অভয়নগর উপজেলায় কয়েকটি বিচ্ছিন্ন সহিংস ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ ইউনিয়নে নৌকা ও ৪ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। .
নৌকা প্রতীকের নির্বাচিতরা হলেন, প্রেমবাগ ইউপিতে অধ্যাপক মফিজ উদ্দিন, সুন্দলী ইউনিয়নে কপিল রায় বিকাশ, পায়রাতে হাফিজুর রহমান বিশ্বাস, শ্রীধরপুরে অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী চলিশিয়া ইউনিয়নে আনারস প্রতীক নিয়ে সানা আ: মান্নান, বাঘুটিয়া তৈয়েবুর রহমান মোটর সাইকেল প্রতিক নিয়ে, শুভরাড়া ইউনিয়নে জামায়াতে ইসলামীর মাওলানা জহুরুল হক চশমা প্রতিক নিয়ে, সিদ্দিপাশা ইউনিয়নে আবুল কাসেম মোটর সাইকেল প্রতিক নিয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হন।
প্রেমবাগ ইউনিয়নে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট অনুষ্ঠিত হলেও বাকি ৭ টি ইউনিয়নে ব্যালট পেপারে ভোট হয়েছে। ইউনিয়নগুলি হলো-সুন্দলী, চলিশিয়া, শ্রীধরপুর, বাঘুটিয়া, শুভরাড়া ও সিদ্ধিপাশা। উক্ত নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৪২ হাজার ৯৮ জন। এর মধ্যে মহিলা ভোটার ৭০ হাজার ৯ শ’ ৩৪ জন। পুরুষ ভোটার ৭১ হাজার ১ শ’ ৬৪ জন। ৮৬ টি ভোট কেন্দ্র রযেছে। ৮ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪০ জন, সংরক্ষিত আসনে ৯৫ জন ও সাধারণ ওয়ার্ডে ২ শ’ ৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৮৬ টি কেন্দ্রে ৮৬ জন প্রিজাইডিং, ৪শ’৯ জন সহকারী প্রিজাইডিং নিয়োগ দেওয়া হয়। ৮ ইউনিয়নে ১৮ টি মোবাইল টিম,৩ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট,প্রতি ইউনিয়নে একজন করে ৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৩ প্লাটুন বিজিবি, ২ প্লাটুন কোস্টগার্ড, র্যাবের ৩ টি টহল টিম, ৯ শ’২৫ জন পুলিশ, ১৪৬২ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করেছেন। অভয়নগরের উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এস এম হাবিবুর রহমান জানান, ২/১ টি ছোট খাট
ঘটনা ছাড়াই অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। সকাল ৮ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ করা হয়।
বিলাল মাহিনী
যশোর