জ্বালানী গ্যাস সহ দ্রব্যমুল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির প্রতিবাদে গণ রাজনৈতিক জোট – গর্জো`র তিতাস-পেট্রোবাংলা সম্মুখে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন। এই সময় গর্জো সভাপ্রধান, জনাব সৈয়দ মঈনুজ্জামান লিটু বলেন সংকটকালে মিডিয়াকে আরও দ্বায়িত্ববান হতে হবে। একগাদা অসাধু ব্যবসায়ী একজোট হয়ে কতগুলো অথর্ব-অযোগ্য মন্ত্রীদেরকে নাচের পুতুল বানিয়ে যাচ্ছেতাই লুটপাট করে যাচ্ছে। গুটিকতক সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবসায়ীর অসং বুদ্ধিতে আর অনৈতিক প্ররোচনায় গ্যাসের দাম বাড়িয়ে সাধারনের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
অল্পকিছু আমদানীকারক ও মজুদদারদের অনৈতিক প্রভাবে চাল, ডাল, তেল, পিয়াজ সহ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। দেশের ২০ শতাংশ ধনী ও স্বচ্ছল মানুষ ছাড়া সকল মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে মানবেতর অবস্থায় ঠেকেছে। এ অবস্থায় সর্বস্তরের মানুষ যখন সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করে সমস্যার সমাধানে মাঠে ময়দানে প্রতিবাদমুখর, সেইসময়ে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে সরাতে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে আবারো পেশাজীবি সংলাপের নামে আলোচনাকে ভিন্নখাতে নিতে চাচ্ছে।
মিডিয়াগুলোর উচিত হবে সরকারের এই দুরভিসন্ধিতে পা না দিয়ে এবং এইসব অপ্রয়োজনীয় আলোচনাকে গুরুত্ব না দিয়ে গ্যাস ও দ্রব্যমুল্যের অসহনীয় মুল্যবৃদ্ধির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের সাথে থাকা। অসাধু ব্যবসায়ীরা সরকারকে গিলে ফেলেছে।
অন্যায় কারসাজির মাধ্যমে দ্রব্যমুল্য বাড়িয়ে তারা পাহাড় সমান মুনাফা করা সত্বেও তাদেরকে শাস্তির আওতায় না এনে উপরন্তু সরকার তাদেরকে শুল্ক ছাড়, ভ্যাট প্রত্যাহার সহ নানামুখী অতিরিক্ত সুবিধা দিয়ে আরো প্রশ্রয় দিচ্ছে। সকল পর্যায় থেকে এর কার্যকর প্রতিবাদ না হলে গনপ্রজাতন্ত্রের এ দেশটি অচিরেই অসাধু ব্যবসায়ী আর সরকারের ভিতরে লুকিয়ে থাকা সহযোগীদের কালো থাবায় সিন্ডিকেটতন্ত্রী বাংলাদেশে পরিনত হবে। দেশটা সবার, তাই সবাইকেই দ্বায়িত্ব নিতে হবে।