নবদূত রিপোর্ট:
দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে তিন দফা দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ যুবঅধিকার পরিষদ সমাবেশ করেন।
উক্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড.রেজা কিবরিয়া বলেন, এই আওয়ামী লীগ সরকার মিথ্যার আশ্রয়ে টিকে আছে, দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য তারা এখন দোষ দিচ্ছে বিরোধী নেতাদের ওপর। ডেঙ্গু এবং কোভিডের জন্যেও তারা বিরোধী দলকেই দোষ দিয়েছিল এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।
তিনি আরও বলেন, এখন দুই দিকে সমস্যা, একটা হলো এই সিন্ডিকেটের পৃষ্ঠপোষকতা করে এই সরকার, দ্বিতীয় হলো, তাদের দক্ষতারও সমস্যা আছে। তারা মুদ্রাস্ফীতি নিয়েও মিথ্যাচার করছে জনগণের সাথে, এই অবৈধ অসৎ দুর্নীতি বাজ সরকার ক্ষমতা থেকে না গেলে দেশে শান্তি ফিরবে না।
যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ বলেন, বর্তমান সরকারের এমপি মন্ত্রীরা কালো গ্লাসে গাড়িতে ঘুরে, এসির বাতাস খেয়ে সাধারণ জনগণের দুঃখ দুর্দশা বুঝবে না।
তারা সাধারণ জনগণের পকেট কাঁটা ও ধান্দার টাকায় ভাল আছে। সরকারের কাছে অনুরোধ, সামনে পবিত্র রমজান মাস তার আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যে সহনীয় পর্যায়ে আনতে হবে এবং মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার আলেমও ওলামাদের পবিত্র রমজান মাসের আগে মুক্তি দিতে।
যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান বলেন, এই মুনাফাবাজ সরকারের মন্ত্রীরা অসহায় তাদের নাকি কিছুই করার নেই, সত্যি বলতে এই সরকারের নিয়ন্ত্রণ সিন্ডিকেট কারীদের হাতে। জনগণের গলা কেটে এরা সিন্ডিকেট কারীদের মুনাফা জোগায়।
যুব অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম বলেন, এই ভোটারবিহীন অগণতান্ত্রিক সরকার নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের রক্ত চুষে ক্ষমতায় টিকে আছে। তারা এই দেশে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার্থে ধনীতন্ত্র কায়েম করেছে, যেখানে ধনীরা দিন দিন ধনীই হবে আর গরীবরা দিন দিন আরো গরীব হবে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি ও জনগণের অসহায়ত্বের জন্য একমাত্র এই সরকার ও সরকারের মন্ত্রীরা দ্বায়ী।
প্রেসক্লাবে সমাবেশ শেষে যুব অধিকার পরিষদ এর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল হয়। মিছিলটি প্রেসক্লাব থেকে শুরু করে পল্টন মোড় ও কাকরাইল হয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড়ে এসে শেষ হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন গণ অধিকার পরিষদ এর যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ রাশেদ খান, ফারুক হাসান, আতাউল্লাহ, আবু হানিফ সহ গণ ও যুব অধিকার অধিকার পরিষদের নেতারা।