নবদূত রিপোর্ট:
মজুদ থাকার পরেও মার্চ মাসে বসুন্ধরা গ্রুপ বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে বলে অভিযানকালে তথ্য পেয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
এ কারণে বসুন্ধরা গ্রুপকে সতর্ক আর দায়িত্বশীল হতে বলেছেন ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। তবে বসুন্ধরার কর্তাব্যক্তিদের দাবি, শিপমেন্টে দেরির কারণেই তেল সরবরাহ কম ছিলো তাদের।
আমদানি ও বিপণন নিয়ে ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বাজারজাতকারী বসুন্ধরা গ্রুপের দেয়া তথ্য যাচাই করতে প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
রোববার (২০ মার্চ) দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের উত্তর পানগাঁওয়ে অবস্থিত বসুন্ধরা মান্টিফুড প্রডাক্টস লিমিটেডে যান ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তারা।
অভিযানে দেখা যায়, মজুদ থাকার পরও মার্চ মাসে বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেল কম সরবরাহ করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ।
তাদের দেয়া তথ্যে দেখা যায় ডিসেম্বরে ১৪ হাজার ৫৭৯ টন, জানুয়ারিতে ২০ হাজার ৪৮৭ টন ও ফেব্রুয়ারিতে ১৭ হাজার ১৬৪ টন সয়াবিন তেল বাজারে সরবরাহ করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ।
কিন্তু পয়লা মার্চ থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত মাত্র ছয় হাজার ৩১০ টন সয়াবিন তেল বাজারে ছেড়েছে তারা।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানান, মজুদ থাকার পরেও কম তেল বাজারে ছেড়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ।
এছাড়াও পুরান এসও ক্লিয়ার করেনি প্রতিষ্ঠানটি। আবার এসওতে ইউনিট প্রতি মূল্যও লিখে দেয়নি তারা।
তবে বসুন্ধরা গ্রুপের হেড অব একাউন্টস জাহান আলম শিমুল দাবি করেন, শিপমেন্টে দেরি হওয়ার কারণেই তেল সরবরাহ কম ছিলো তাদের।
ভোক্তা অধিকার থেকে অবশ্য বারবার বলা হচ্ছে, ২৫ মার্চ থেকে ১৫ দিন আগের এসও বাতিল হবে। যদি কোন প্রতিষ্ঠান আগের এসও দেয় তাহলে মাল বাজেয়াপ্ত করবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।