নবদূত রিপোর্ট:
চলতি বছরের শেষ নাগাদ তথা ডিসেম্বরে পদ্মা সেতু চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান। এর আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়।
নওগাঁ-২ আসনের সাংসদ শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের সাহসী পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সব বাধাবিপত্তি পেরিয়ে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য পদ্মা সেতু হতে যাচ্ছে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং প্রকল্পগুলোর একটি। পদ্মা সেতু প্রকল্পের উভয় প্রান্তে অ্যাপ্রোচ রোড ও সার্ভিস এরিয়ার কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মূল সেতুর ভৌত অগ্রগতি ৯৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ৪১তম স্প্যান স্থাপনের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর দুই পাড় সরাসরি যুক্ত হয়েছে। বর্তমানে সেতুতে কার্পেটিং, ভায়াডাক্টে কার্পেটিং, ওয়াটারপ্রুফ মেমব্রেন, মূল সেতু ও ভায়াডাক্টের মুভমেন্ট জয়েন্ট, ল্যাম্পপোস্ট, অ্যালুমিনিয়াম রেলিং, গ্যাসের পাইপলাইন, ৪০০ কেভিএ বিদ্যুৎ ও রেললাইন নির্মাণের কাজ চলমান। পদ্মা সেতুর শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবা প্রান্ত থেকে জেলা শহর পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। ২০২২ সালের শেষ নাগাদ পদ্মা সেতু চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের সংশোধিত ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা বলে তিনি জানান।