নবদূত রিপোর্টঃ
লালমনিরহাটে স্কুল ছাত্রী জান্নাতী আক্তারের (১৩) আত্নহত্যার ঘটনায় প্ররোচনার অভিযোগ তুলে প্রেমিক জাহাঙ্গীর আলমের (২৬) বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তার পরিবার।
মৃত স্কুল ছাত্রী জান্নাতী আক্তর লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের সাতপাটকী গ্রামের রিক্সা চালক মামুন মিয়ার মেয়ে। সে স্থানীয় মহেন্দ্রনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।
অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম একই এলাকার আফছার আলীর ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্কুল ছাত্রী জান্নাতীর আক্তারের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন জাহাঙ্গীর আলম। প্রেমের সম্পর্ক দৈহিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে জান্নাতী বিয়ের জন্য প্রেমিক জাহাঙ্গীরকে চাপ দেয়। এর এক পর্যয়ে গত ২৯ মার্চ স্কুল থেকে ফেরার পথে জান্নাতীকে আটক করে স্থানীয় মেশিন ঘরে নিয়ে যায় জাহাঙ্গীর। এ সময় পুনরায় বিয়ের জন্য চাপ দিলে প্রেমিক জাহাঙ্গীর ক্ষিপ্ত হয়ে চর-থাপ্পর দেয় প্রেমিকা জান্নাতীকে। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই দিন বিকেলে নিজ বাড়িতে গলায় ওড়না প্যাচিয়ে আত্নহত্যা করেন স্কুল ছাত্রী জান্নাতী।
খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে প্রেমিক জাহাঙ্গীরের পরিবার স্থানীয় আপোষ মিমাংসার অচেষ্টা চালায়। অবশেষে প্রেমিক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে মেয়ে আত্নহত্যার প্ররোচনার দায়ে বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) রাতে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন মৃত জান্নাতীর মা হাশি বেগম।
মৃত জান্নাতীর মা হাশি বেগম বলেন, আমার মেয়ের সাথে জাহাঙ্গীরের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে জাহাঙ্গীর আমার মেয়েকে চর ধাপ্পর দেয়। যা সহ্য করতে না পেয়ে আমার মেয়ে আত্নহত্যা করেছে। গরিবের ইজ্জত তারা টাকা দিয়ে কিনতে চেয়েছিল। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি, বিচার পেতে সর্বচ্চ চেষ্টা করে যাব।
লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ আলম বলেন, জান্নাতী আত্নহত্যার ঘটনায় ওই দিনই থানায় অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা করা হয়েছে। প্ররোচনার অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।