ন্যায়বিচার, আইনজীবী অধিকার ও পেশাগত মর্যাদা বৃদ্ধি, আইন শিক্ষার মানোন্নয়ন, বিচারিক কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং বার ও বেঞ্চের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে গণঅধিকার পরিষদ-এর ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন হিসেবে “আইনজীবী অধিকার পরিষদ” গঠিত হয়। গত ১৭ এপ্রিল ২০২২ রবিবার ঢাকার একটি রেস্টুরেন্টে এই সংগঠনের আয়োজনে “ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা” অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন। অন্যান্য অতিথিবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন: ১) ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. মহসিন মিয়া ২) সুপ্রীম কোর্ট বারের সাবেক সিনিয়র এজিএস অ্যাড. কাজী জয়নাল আবেদীন ৩) ঢাকা বারের সাবেক দফতর সম্পাদক অ্যাড. এএইচএম মাসুম ৪) ঢাকা বারের সাবেক কার্যকরী সদস্য অ্যাড. মো: শাহ আলম ৫) গণঅধিকার পরিষদ-এর সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান ৬) সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ফারুক হাসান ৭) সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব মুহাম্মদ আতাউল্লাহ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ! সভাপতিত্ব করেন আইনজীবী অধিকার পরিষদ এর সমন্বয়ক ব্যারিস্টার জীশান মহসীন এবং সঞ্চালনায় ছিলেন অ্যাড. সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন অ্যাড. মো: খাদেমুল ইসলাম, অ্যাড. শিরীন আক্তার, অ্যাড. তৌফিক শাহারিয়ার খান, অ্যাড. মো: পারভেজ, অ্যাড. শেখ শওকত হোসেন, অ্যাড. ড. শোয়েব মামুদ, অ্যাড. এরশাদুল বারী খন্দকার, অ্যাড. লাবাবুল বাশার, অ্যাড. সাজেদুল ইসলাম, অ্যাড. হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
উক্ত অনুষ্ঠানে আসন্ন বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচনে আইনজীবীদের প্রত্যাশা ও বাংলাদেশ আইনজীবী অধিকার পরিষদ কর্তৃক ১১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
আইনজীবীদের ১১ দফা:
দফা: ০১ জীবদ্দশায় বেনাভোলেন্ট ফান্ড চাই;
দফা: ০২ আইনজীবী সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে;
দফা: ০৩ আইনজীবী ট্রেইনিং একাডেমি প্রতিষ্ঠা করতে হবে;
দফা: ০৪ ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি সার্ভিস চালু করতে হবে;
দফা: ০৫ নবীন আইনজীবী ভাতা চাই;
দফা: ০৬ প্রতি বছর এনরোলমেন্ট ও হাইকোর্ট পারমিশন পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে;
দফা: ০৭ আইন শিক্ষার মানোন্নয়নে স্বতন্ত্র আইন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে;
দফা: ০৮ ট্রায়াল মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে জেলায় সিভিল ও ক্রিমিনাল কোর্ট পৃথকীকরণ এবং আদালতের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে;
দফা: ০৯ টাউট ও দুর্নীতিমুক্ত কোর্ট প্রাঙ্গণ চাই ও ক্লায়েন্ট/সাক্ষী সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে ;
দফা: ১০ ডিজিটাইজড কোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু ও সাক্ষ্য আইনে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে;
দফা: ১১ উচ্চ আদালতে ইংরেজি রায় ও পিটিশনের পাশাপাশি বাংলায় রায় ও পিটিশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
মূলনীতি (৩টি): ন্যায়বিচার অধিকার মর্যাদা
শ্লোগান: আইনজীবীর অধিকার আমাদের অঙ্গীকার
প্রকৃতি: এটি গণঅধিকার পরিষদ-এর ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন যা আইনজীবীদের স্বার্থ সুরক্ষায় স্বতন্ত্রভাবে কাজ করবে।
সভায় সাধারণ আইনজীবীদের অধিকার ও পেশাগত মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গোটা দেশের আইনজীবীদেরকে আইনজীবী অধিকার পরিষদ- এ যুক্ত হওয়ার আহবান জানানো হয়।
বার্তা প্রেরক:
অ্যাড. সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী
এলএল.বি (অনার্স); এলএল.এম (ঢাবি)
কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক, আইনজীবী অধিকার পরিষদ
ও
কেন্দ্রীয় সহ-আহবায়ক, গণঅধিকার পরিষদ।
১৮/০৪/২০২২