ডেস্ক রিপোর্ট: প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্বাব বেড়ে যাওয়ায় আগামী ১৪ তারিখ থেকে সারাদেশে সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এ লকডাউনকে উদ্দেশ্য করে হেফাজতে ইসলামের আমীর জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, ‘লকডাউনের নামে রমজান মাসে মাদ্রাসা, মকতব, হিফজ বিভাগ বন্ধের আদেশ প্রত্যাহারের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি। কোরআন তিলাওয়াত এবং দোয়ার মাধ্যমে বালা-মুসিবত দূর হয়ে যায়। সেই হিসেবে দেশের স্বার্থে কওমি মাদ্রাসার কোরআন তিলাওয়াতের পরিবেশ অব্যাহত রাখার অনুমতি প্রদান করা হোক।
রোববার (১১ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ পর্যায়ের এক জরুরি বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জুনায়েদ বাবুনগরী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, করোনার নামে লকডাউন দিয়ে মাদ্রাসা বন্ধ করা যাবে না। মসজিদের জামাত বন্ধ করা যাবে না। তারাবির নামাজ চলবে। জুমা চলবে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে পাঁচ জন করে নামাজ আদায় করবে তা মানা যাবে না। এগুলো শরিয়ত পরিপন্থি, শরিয়তবিরোধী কথা।
বাবুনগরী আরও বলেন, কওমি মাদ্রাসায় একটা কালেকশন আসে রমজান মাসে। এই লকডাউন দিয়ে এগুলো বন্ধ করতে চাচ্ছে সরকার।
এ সময় মামুনুল হকের অব্যাহতির বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাবুনগরী বলেন, আজকের বৈঠকে কাউকে বহিষ্কার বা অব্যাহতির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে আজকের সভায় কোনো আলোচনা হয়নি।
বৈঠক থেকে হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং দেশের বিভিন্ন মাদ্রাসা ও মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক-তৌহিদী জনতার উপর পুলিশি হয়রানি বন্ধের দাবি করা হয়েছে। এছাড়া আগামী ২৯ মে হাটহাজারী মাদ্রাসায় ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।