দেশজুড়ে যখন বাড়ছে করোনার দ্বিতীয় ধাপের সংক্রমন এবং বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল ঠিক সেই সময়ে বাংলাদেশের সামনে আরেক দুশ্চিন্তা,সম্ভাব্যটিকা সংকট।
অক্সফোর্ডের তৈরী ৩ কোটি ডোজ করোনা টিকা ভারতের শ্রীরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনার চুক্তি অনেক আগেই করেছিল সরকার।কথা ছিল প্রতিমাসে ৫০ লাখ ডোজ করে টিকা আসবে।প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ এসেছিল গত জানুয়ারি মাসের ২৫ তারিখে।
২৩ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় চালানে ৫০ লাখের পরিবর্তে আসে ২০ লাখ ডোজ করোনা টিকা।এরপর এই চালান স্হগিত হয়ে যায় ভারতের বিপুল পরিমান টিকার চাহিদা থাকার কারনে।
বাংলাদেশের কেনা টিকা আসার আগেই বাড়তি উপহার হিসেবে ২০ লাখ ডোজ টিকা পাঠিয়েছিল ভারত সরকার।এরপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর কালে ১২ লাখ এবং গত ৮ এপ্রিল ভরতের সেনা প্রধানের সফর কালে ১ লাখ ডোজ সহ এপর্যন্ত ১ কোটি ৩ লাখ ডোজ করোনা টিকা বাংলাদেশে এসেছে।তবে,চুক্তি অনুযায়ী ভারতের শ্রীরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ডের আরও ২ কোটি ৩০ লাখ ডোজ টিকা পাওনা বাংলাদেশের।
কিন্তু এরপর কবে আসবে পরবর্তী চালান,সে সম্পর্কে কেউই জানেন না।বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বলেন,চুক্তিঅনুযায়ী বাংলাদেশে পরবর্তী চালান গুলো কবে আসবে সে সময়সীমা তার জানা নেই।
এমতাবস্থায় ভারতের বিকল্প হিসেবে রাশিয়ার টিকা ব্যবহার করতে চায় বাংলাদেশ সরকার।পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মুমিন বলেন,রাশিয়ার সাথে আলাপ-আলোচনা চলছে,কিন্তু উৎপাদন সক্ষমতা কম হওয়ায় রাশিয়া বাংলাদেশকে টিকা উৎপাদন সহযোগী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।