বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ এর আহ্বায়ক আতাউল্লার বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে ছাত্র, যুব,শ্রমিক অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক ডাকসু’র সাবেক ভিপি নুরুলহক নুর।
গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে নুর বলেন, “গতকাল ২২/০৪/২০২১ ইং তারিখ আনুমানিক রাত ১০ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী ‘ বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ ‘ এর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সম্মানিত আহবায়ক ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলার কৃতি সন্তান,গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার আন্দোলনের সাহসী যুবক মোঃ আতাউল্লাহ এর গ্রামের বাড়িতে বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৪/১৫ টি মোটরসাইকেল যোগে ২৫/৩০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল সশস্ত্র হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে মোবাইল, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ ও গুরুত্বপূর্ণ কাজগপত্র লুট করে। হামলার সময় সন্ত্রাসীদের বাধা দিতে গেলে আতাউল্লাহর বড় ভাই মুহসীনকেও মারাত্মকভাবে জখম করে এবং আরেক ভাই মাসুদকে অস্ত্র ঠেকিয়ে বাড়িতে থাকা নারীদেরও লাঞ্ছিত এবং হেনস্তা করে। আমরা এ সশস্ত্র হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। দ্রুত সময়ের মধ্যে স্থানীয় প্রশাসনকে উক্ত ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার অনুরোধ করছি। অন্যথায় এ ধরনের ঘটনায় জনগণ ফুঁসে উঠে কোন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তার দায়ভার প্রশাসনকে নিতে হবে।
একই সাথে সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের এসব আইন ও সমাজ বিরোধী উচ্ছৃঙ্খল এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধে দায়িত্বশীলদের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। কারন, আমরা মনে করি, মত-পথের ভিন্নতা থাকলেও আমাদের সকলের মৌলিক রাজনৈতিক লক্ষ্য-উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন ; দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে দেশকে এগিয়ে নেয়া।”
হামলার পূর্বে সন্ত্রাসীরা বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বাড়ির আশপাশের লোকজনের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়। যাতে আতাউল্লাহর পরিবারের সহযোগিতায় কেউ এগিয়ে আসতে না পারে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেন ভিপি নুর।
এ বিষয়ে জানতে বিজয়নগর থানার ওসিকে মোবাইলে বার বার কল দেওয়া হলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আতাউল্লার বড় ভাই মাসুদূর হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এভাবে রাতের অন্ধকারে বাড়িতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলা ,লুইপাটের পর বিচার না হলেও তো দেশ সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হবে। আমরা থানায় এসেছি মামলা করতে, থানা কর্তৃপক্ষ মামলা নিতে গড়িমসি করছে। থানা কর্তৃপক্ষ মামলা না নিলে আমরা কোর্টে মামলা করবো।