নবদূত রিপোর্ট:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের ছাত্রলীগ-ছাত্রদল সংঘর্ষ হয়েছে। ঘটনায় সাংবাদিকসহ অনেকেই আহত হয়েছেন। ছাত্রদল দাবি করছে তাদের অন্তত ৩০-৪০ জন আহত হয়েছেন। কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে কার্জন হল থেকে হাইকোর্ট এলাকার রাস্তায় এই ঘটনা শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ১২টার দিক থেকে দুই দলেরই ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের অন্তত তিন শতাধিক নেতাকর্মী ধাওয়া দিলে ছাত্রদলের কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
ওই সময় হাইকোর্ট এলাকায় এক ছাত্রদল কর্মীকে একা মাটিতে ফেলে একদল ছাত্রলীগ কর্মী মারধর করে। হামলায় তিনি অবচেতন হয়ে পড়েন।
সূত্র জানায়, পরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাকিব হোসেনের সহযোগিতায় তাকে একটি রিকশাতে করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলাকালীন এক গণমাধ্যম কর্মীকে মারধর করা হয়। ভুক্তভোগী আবির আহমেদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক। আবির বলেন, ‘আমি পেশাদারী দায়িত্ব পালন করতে ভিডিও করতে গেলে একদল আমাকে মারধর করে। তাদের আমি চিনতে পারিনি। তারা আমার মোবাইল কেড়ে নেয় এবং আমার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক আক্তার হোসেন বলেন, ‘আমরা আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ক্যাম্পাসের দিকে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলাম। কিছু বুঝে উঠার আগেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর অতর্কীত হামলা করে। তারা গোলাগুলি করেছে এবং আমাদের নেতাকর্মীদের কুপিয়েছে। আমাদের প্রায় ৩০/৪০ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে আছেন। তাদের অনেকেরই অবস্থা গুরুতর, জীবন-মৃত্যু অনিশ্চিত।
তবে ছাত্রলীগ দাবি করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রদলকে প্রতিহত করেছে। ঘটনার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বাংলাদেশ বলেন, ‘অতীতের ন্যয় আজকেও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সন্ত্রাসী মনোভাব নিয়ে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করতে এসেছে। আগের বার দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আসলেও আজকে তারা রিভলবার, গুলি নিয়ে এসেছে। আমরা দেখেছি সাধারণ শিক্ষার্থীরা আজকে তাদের দমন করতে সতঃস্ফুর্তভাবে ঐকবদ্ধ হয়েছে। বিভিন্ন হল থেকে, ক্লাস থেকে অনেক শিক্ষার্থী একসাথে হয়ে তাদের প্রতিরোধ করেছে।’