মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে ভারতীয় পণ্য বর্জন শুরু করেছে কুয়েতের একটি সুপারমার্কেট। তারা শেলফ থেকে সরিয়ে নিয়েছে ভারতীয় পণ্য। সর্বশেষ ইরান ও পাকিস্তান তলব করেছে ভারতীয় দূতদের। কুয়েতের আল আরদিয়া কো-অপারেটিভ সোসাইটির স্টোরে ভারতীয় চা এবং অন্যান্য পণ্য ট্রেতে জমা করে রাখা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
ভারতে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল ভারতীয় জনতা পার্টির দু’নেতা- দলটির মুখপাত্র নূপুর শর্মা ও দিল্লি মিডিয়া শাখার প্রধান নবীন কুমার জিন্দাল মহানবী (সা.)কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে আরববিশ্ব। ওই দুই নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হলেও ক্ষোভ কমছে না। সৌদি আরব, কাতার, ওই অঞ্চলের অন্য দেশগুলো, কায়রোতে প্রভাবশালী আল আজহার ইউনিভার্সিটি মহানবী (সা.)কে নিয়ে এমন মন্তব্যের কড়া নিন্দা জানিয়েছে। কুয়েত সিটির বাইরে একটি সুপারমার্কেটে ভারতীয় চালভর্তি বস্তা, মসলা ও মরিচের সেলফ প্লাস্টিকের শিট দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে
তার ওপর আরবিতে লেখা রয়েছে- ‘উই হ্যাভ রিমুভড ইন্ডিয়ান প্রোডাক্টস’ বা আমরা ভারতীয় পণ্য সরিয়ে ফেলেছি। ওই স্টোরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসির আল মুতাইরি বলেছেন, মহানবী (সা.)কে অবমাননা কুয়েতি মুসলিম হিসেবে আমরা মেনে নিতে পারি না। এই চেইন শপের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, তাদের পুরো কোম্পানি ভারতীয় পণ্য বর্জনের বিষয় বিবেচনা করছে।
উল্লেখ্য, মহানবী (সা.) ও তার সবচেয়ে ছোট স্ত্রীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন নূপুর শর্মা। গত সপ্তাহে টেলিভিশন বিতর্কে তিনি ওই মন্তব্য করার পর মুসলিমদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এমনকি ভারতেই সংঘর্ষ হয়েছে। নূপুরকে গ্রেপ্তারের দাবি উঠেছে। এই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে মুসলিম দেশগুলোতে। ফলে মুসলিম দেশগুলোর ক্ষোভ প্রশমনের জন্য সরকার নূপুর শর্মা ও নবীন কুমার জিন্দালকে বরখাস্ত করে রোববার। এদিনই সরকারের বক্তব্যে মহানবী (সা.)কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের কথা সরাসরি উল্লেখ না করে, নূপুরের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। জবাবে নূপুর শর্মা তার বক্তব্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। এদিনই গ্যাসসমৃদ্ধ উপসাগরীয় দেশ কাতার সফরে ছিলেন ভারতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভেঙ্কাইয়া নাইডু। এদিনই ইসলামভীতির জন্য ভারতের কাছে ক্ষমা দাবি করে কাতার।