বিদ্যুৎ খাতে নৈরাজ্য, সারাদেশে অসহনীয় লোড শেডিং ও জনভোগান্তির প্রতিবাদে হারিকেন মিছিল করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন।
সোমবার (২৫ জুলাই) সন্ধায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ছাত্র ফেডারেশন সভাপতি মশিউর রহমান খান ও সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফের নেতৃত্বে এতে ফেডারেশনের কেন্দ্রীয়, ঢাবিসহ বিভিন্ন শাখার নেতারা অংশ নেন। এছাড়া এতে সংহতি প্রকাশ করে অংশ নেন গণসংহতি আন্দোলন ও বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়ক আবুল হাসান রুবেল বলেন, দেশের বিদ্যুৎ খাতের নৈরাজ্যকে রাশিয়া-ইউক্রেনের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। হোক বা না হোক এটা অবশ্যম্ভাবী ছিল। এগারোবার বিদ্যুৎতের দাম বাড়ানো হয়েছে। জনগণের পকেট কাটা হয়েছে। ভর্তুকি লুটেরাদের দেওয়া হয়েছে। সেপ্টেম্বরে এটা ঠিক হবে না। আসলে কোনো ব্যবস্থা নেই। পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কার দিকে যাচ্ছে। এর দায় এই লুটেরা সরকারের।
ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী সব কিছুর বিকল্প সমাধান দিয়ে দেন। এর বিকল্প কি, বিদ্যুৎ যে নেই! রিজার্ভের বিকল্প কি? দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে এর বিকল্প কি। আমরা হিরক রাজার দেশে বসবাস করছি। তাদের বন্দনা করতে হবে সমালোচনা করা যাবে না। জনগণকে সাশ্রয়ী হতে বলছে অথচ সরকারি অফিস-আদালতে এসি চলছে। জনগণকে উপদেশ না দিয়ে নিজেরা সচেতন হন। দেশ দেউলিয়া হলে আমাদের সবাইকে ভোগ করতে হবে। সবাইকে প্রতিবাদ করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ছাত্র ফেডারেশন সভাপতি মশিউর রহমান বলেন, আমরা করবো সাশ্রয় তারা করবে লুটপাট। আমরা যে টাকা বাঁচাবো, তারা প্রকল্পের মাধ্যমে নিজেদের পেট ভরবে, কানাডায় বেগমপাড়া বানাবে। আমরা বারবার বলেছি, নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে নিয়ে যেতে। আমাদের গ্যাস আছে, বাতাস আছে, পানি আছে এগুলো কাজে লাগাতে হবে। চুসে ছোবলাটা আমাদের দিয়ে তারা বিদেশে চলে যাবে। আমাদের হাতে হারিকেন দেওয়া হয়েছে। কেবল বিদ্যুৎ খাত নয়, সব খাতে সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাট হচ্ছে।